অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাশের বাড়ির মুজির আলীর ছেলে রেজওয়ানের সঙ্গে মারামারির কারণে তামিমকে হত্যা করে লাশ তাদের (তামিমদের) ঘরে আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে মুজির স্ত্রী পলি বেগম। ওই সময় শিশুটির পিতা-মাতা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পরপরই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েন পালিয়ে গেছেন মুজির আলী। তবে পুলিশ বলছে, ওই শিশু ঘরের আড়ার সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তামিমের পিতা ফারুক হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী শনিবার সকালে নওয়াপাড়া আকিজ জুট মিলে কাজে চলে যায়। আমিও এক আত্মীয়র বাড়িতে যাই। বেলা ১১টার দিকে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি ভিতর থেকে দরজা লাগালো। ঘরের দুইটা দরজা। অন্য দরজা খুলে দেখি ছেলের লাশ ঝুলছে। মা নাসিমা বেগম জানান, শনিবার সকালে আমি কাজের উদ্দেশ্যে বের হই। কিছুদূর যাওয়ার পর ছেলের মৃত্যুর খবর পাই। পাশের বাড়ির মুজিরের বউ পলি আমার ছেলেকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, পলি বেগম খুব চঞ্চল নারী। তার সন্তানদের সঙ্গে কোনো শিশু মারামারি করলে তিনি ওই শিশুকে মারধর করেন। শনিবার সকালেও পলি তামিমকে ধরে মারতে মারতে বাড়িতে নিয়ে আসেন। স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য তাসলিমা খাতুন বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বোঝা যাচ্ছে না।
একটা শিশু আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে হয় না। আবার ঘরের ভিতর দিয়ে দরজা লাগানো ছিল। তা দেখেও সন্দেহ হচ্ছে। মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে
প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পলি বেগম ও তার স্বামীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।