বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ করোনা আতঙ্ক নিয়ে আগামীকাল শনিবার বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইনসেটে আওয়ামী লীগ ও জাপার
প্রার্থী ।ছবি: ইত্তেফাক করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আগামীকাল শনিবার
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশনভোটারদের জন্য অবশ্য প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যানারসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, টিসু পেপারের ব্যবস্থা রেখেছে। পরামর্শ দেওয়া
হয়েছে ভোট দিয়েই দ্রুত স্থান ত্যাগ করার। শুক্রবার সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। এই আসনের উপনির্বাচনে দুটি উপজেলার ১৪৩টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন। উপ-নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। এই আসনে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, বাগেরহাট-৪ আসনের অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ভোট নির্বিঘ্ন করতে দশ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড, র্যাবের ১০টি টহল টিম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে। এই নির্বাচনে ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ টিম এবং দশটি স্ট্রাইকিং ফোর্স
মাঠে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এই আসেনের ১৪৩টি ভোট কেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, সিলসহ সব সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য ১২ জন আনসার সদস্য থাকবে। নির্বিঘ্নে ভোটারা কেন্দ্রে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান ঋণ ও কর খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।