
জানা যায়, দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে ১৪৩টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার ছিল। এরমধ্যে এক লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন পুরুষ ও এক লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন নারী ভোটার। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালস করেছে। এছাড়া ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের
২১টি ভ্রাম্যমাণ দল, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১০ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড ও র্যাবের ১০টি টিম সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল। গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপ-
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ
বিএনপি ও জাপার তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বিএনপি দলীয়
প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের ঝণ ও কর খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আপিলেও বাতিল হয় কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়ন পত্র। এরফলে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।