themesbaz_sky_19
ঘোষনা :
জাগোদেশ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম , সর্বশেষ সংবাদ জানতে জাগোদেশ২৪ ডটকমের সাথে থাকুন । জাগোদেশ২৪ডটকমের জন্য  সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।  আগ্রহী প্রার্থীগণ জীবন বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ ই-মেইল পাঠাতে পারেন। ই-মেইল:
পুরাতন খবর খুজছেন ?

ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতি তদন্তে কমিটি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের দুর্নীতি তদন্তে হাই ভোল্টেজ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়। গত ২৪ অক্টোবর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-১ এর উপ-সচিব মোসাঃ সুরাইয়া বেগম এক অফিস আদেশে উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটিকে কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রানালয়ের ১৫.০০.০০০০.০১৩.২৭.০০১.১০.১০৯০/১(৪) নং স্মারকে চিঠিতে বলা হয়েছে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত পুর্বক ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী শুক্রবারের (৮ নভেম্বর) মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের প্রশাসন-২ এর অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী। সদস্য সচিব করা হয়েছে সিনিয়র সহকারী সচিব তারিক হাসান। এছাড়া তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মোঃ মঈনুল ইসলাম। এর আগে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রানী সাহা গত ২ অক্টোবর ‘ভুয়া কাজ ও বিল ভউচারে লোপাট ১০ কোটি টাকার বিষয়ে তদন্ত প্রসঙ্গে’ শিরোনামে তার দপ্তরের ২৫.৩৬.০০০০.২১৩.২৭৫৫৯.১৯.১০৮৭ নং স্মারকে একটি চিঠি ইস্যু করেন।
তদন্ত পুর্বক ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে তদন্ত দলকে নির্দেশ দেন। গত ৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক নাজমুস সায়াদাত ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের ১০ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। ঝিনাইদহে অবস্থানকালে তিনি গণপূর্ত অফিসের ঠিকাদারী কাজের নথি দেখেন ও নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

উল্লেখ্য ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ কাজ না করেই কোটি কোটি টাকার বিল উত্তোলন করেন বলে পত্রিকা ও বেসরকারী টিভি চ্যানেলে খবর প্রচার হয়। খবর ফাঁস হয়ে পড়লে জুনের আগে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া প্রকল্পগুলো তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করেন। ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া ডরমেটরি ভবন, নন হেজেটেড ডরমেটরি ভবন, জেলা জজের বাসা, সাবডিভিশন অফিস ও গনপুর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাসাসহ বিভিন্ন অফিস মেরামত ও রং করেন। অথচ কাজ দেখিয়ে জুনের আগেই তিনি ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিল তুলে নেন তিনি।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগে গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ই-জিপি টেন্ডারের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে মেন্যুয়ালি নেটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (নোয়া) দেওয়া হয়। যা পিপি’র বিধি বহির্ভুত। প্রশ্ন উঠেছে ই-জিপি টেন্ডার আহবান করলে একজন ঠিকাদার অর্ধশত কাজ কি ভাবে পায়। এ ভাবে তিনি ২/৩টি লাইসেন্সের বিপরীতে শত শত কাজ দিয়ে কোনটি কাজ না করে আবার আংশিক কাজ করে ৯ কোটি টাকার বেশি টাকা লোপাট করেন। এ বিষয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মুঠোফোনে (০১৮৮২-১১৫৩৮১) মঙ্গলবার বিকালে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2019 jagodesh24.com
Design & Developed BY Anamul Rasel