themesbaz_sky_19
ঘোষনা :
জাগোদেশ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম , সর্বশেষ সংবাদ জানতে জাগোদেশ২৪ ডটকমের সাথে থাকুন । জাগোদেশ২৪ডটকমের জন্য  সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।  আগ্রহী প্রার্থীগণ জীবন বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ ই-মেইল পাঠাতে পারেন। ই-মেইল:
পুরাতন খবর খুজছেন ?

দামুড়হুদায় ঘরে বসেই ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন কৃষকরা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ১১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুই বছর বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্রের কার্যক্রম। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন এ কেন্দ্রে প্রতিদিন সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন কৃষিপণ্য, যা পরে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীর কাছে। ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য বিক্রি করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন কৃষকদের কাছে। এ পদ্ধতিতে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে গিয়ে এ অঞ্চলের কৃষকদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দামুড়হুদার জয়রামপুর ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা গ্রামে দুটি কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে। কৃষি অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের আওতায় এ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজে সংগ্রহ ও বিপণন। কেন্দ্র দুটি চালুর পর থেকেই কৃষকরা সমিতির মাধ্যমে সেখানে বিভিন্ন সবজি ও ফল নিয়ে আসতেন, যা পরে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পাঠানো হতো বিভিন্ন জেলায়। তবে দুই বছর চালু থাকার পর ২০১৭ সালে কেন্দ্র দুটি বন্ধ হয়ে যায়। দুই মাস।আগে জয়রামপুরের কেন্দ্রটি চালু হলেও পারকৃষ্ণপুর-মদনার এ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন শুধু জয়রামপুর বিপণন কেন্দ্র থেকেই বিভিন্ন জেলায় শীতকালীন সবজি পাঠানো হচ্ছে অন্তত সাত ট্রাক। প্রতিদিন এখানে সবজি নিয়ে আসছেন ১০০-১৫০ কৃষক। জয়রামপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, আক্কাছ আলি ও শাহানেওয়াজসহ বেশ কয়েকজন চাষী বলেন, কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় পর থেকে উৎপাদিত সবজি বিক্রিতে তাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। এখানে সবজি নিয়ে আসার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তা ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছেন। এছাড়া তারা নিজেরাও সমিতির মাধ্যমে এখান থেকে সরাসরি ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের পছন্দের আড়তে সবজি পাঠাচ্ছেন। সেখানে বেচাকেনা শেষে ব্যবসায়ীরা বিক্রির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে তাদের শ্রম যেমন লাঘব হচ্ছে, মিলছে ন্যায্য দামও। শাহানেওয়াজ ও আব্দুল হালিম নামে দুই ব্যবসায়ী বলেন, এ অঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রামের কৃষকরা বিপণনকেন্দ্র থেকে আমাদের মাধ্যমে কৃষিপণ্য বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। আমরা কৃষকদের দেশের বিভিন্ন আড়তদারের সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দিচ্ছি। ফলে কৃষকরা স্থানীয় বাজার ছাড়াও বাইরে বেশি দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন। তবে এ দুই ব্যবসায়ী আরো বলেন, ন্যায্য দাম পেতে চাষীদের সহযোগিতা করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার কেশবপুর, চিত্লা, গোবিন্দহুদা এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত ফসল এখানে নিয়ে আসতে বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অদূরে হাটের মতো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কৃষকদের কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা এলাকায় তেমন সবজির চাষ না হওয়ায় সেখানকার সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্রটি বন্ধ।রয়েছে। তবে বর্তমানে জয়রামপুর গ্রামের কেন্দ্রটি খুব ভালো চলছে। সেখানে স্থানীয় কৃষকরা উৎপাদিত সবজি।ও ফল নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে বেগুন, লাউ, চিচিংগা, পেঁপে, কাঁচাকলা, কুমড়া ও শিমের মতো শীতকালীন সবজি। বর্তমানে এ কেন্দ্র দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও বাজার সুবিধা প্রদানকারী বদরুল আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2020 jagodesh24.com
Design & Developed BY Anamul Rasel