শিমুল রেজা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা গুলোতে এখনো পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তেমনি একটা গ্রাম
মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী এ ইউনিয়নের ছাতিয়ান তলা গ্রামের
দীর্ঘদিন বটতলা ঘাট (গোয়াল ঘাট) না বাঁধার কারনে ঘাটে যাতায়াত
এবং চলাফেরাতে গ্রামবাসীদের দূর্ভোগ মাথায় নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
মাথাভাঙ্গা নদীর শাখা নদীর তীরবর্তী গ্রাম ছাতিয়ান তলা। প্রায়
চার হাজার লোকের বসবাসের এই গ্রামের প্রায় অর্ধেক লোকের যাতায়াত করতে হয় এই বটতলা ঘাট (গোয়াল ঘাট) দিয়ে। এছাড়াও অনেক পরিবার এই ঘাটের জন্য তাদের চলাফেরাতে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
গ্রামবাসীসূত্রে জানা যায়, অনেকবার এলাকার জনপ্রতিনিধিরা
আমাদের এই বটতলা ঘাট মাটি দিয়ে বেঁধে দিয়েছে আবার আমরা
গ্রামবাসী অনেকবার স্বেচ্ছাশ্রম এবং নিজেদের অর্থ দিয়ে এই ঘাট পুন:নির্মাণ করেছি। কিন্তু বর্ষা মৌসুম আসলে বৃষ্টিতে ঘাট ভেঙ্গে আর চলাচলের মত অবস্থা থাকে না। এখন আমরা চায় এটার স্থায়ী সমাধান।
গ্রামের মেম্বার জবেদ আলী বলেন, গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে নিজ উদ্যেগে এই বটতলা ঘাট (গোয়াল ঘাট) মেরামত, সংস্কার করে যাতায়াত করে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা কালে এসব পথ ঘাটের বেহাল অবস্থা হয়। আমি এ ব্যপারে উপর মহলে বলেছি খুব শিঘ্রীই এটার একটা ব্যবস্থা করা হবে
নাটুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম জানান,
ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন পথ, ঘাট, রাস্তা ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। তবে সরকারী বরাদ্দের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তারপরও আমরা বরাদ্দ পেলে এই ঘাটটি বাঁধার চেষ্টা করব।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবউল হক বলেন, আমাদের
বিষয়টা জানা ছিল না আমরা খুব শিঘ্রীই এটা পরিদর্শনে যাব। এবং
জনসাধারনের দূর্ভোগ ঠেকাতে ঘাটটি নির্মাণের চেষ্টা করব।