নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গা জীবননগর শহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুয়েলার্স ব্যবসায়ী দিলিপ বিশ্বাস (৩৪)কে কুপিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা শহরের মটর শ্রমিক অফিসের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ব্যবসায়ী দিলিপ বিশ্বাস জানান,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে প্রতিদিনের মতো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরার পথে জীবননগর মটর শ্রমিকের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা মফিজ, রুবেল সহ বেশ
কয়েকজন ছেলে আমার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে টেনে হেঁচড়ে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভিতরে নিয়ে মারপিট করতে থাকে একপর্যায়ে
রুবেলের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন তার উপর হামলার কারন জানতে চাইলে দিলিপ জানান, আজ দুপুরে মফিজ আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তনু জুয়েলার্সে উপস্থিত হয়ে আমাকে বলে আমার দোকানে কর্মচারীরা তার দোকানে পাঁচ শতটাকা বাকি করে চলে গেছে সেই টাকা আমাকে পরিশোধ করতে হবে। আমি টাকা দিতে না চাইলে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় তারই জের ধরে মফিজ লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলা করে আমাকে কুপিয়ে আহত করে এবং আমার কাছে থাকা নগদ ২৮
হাজার টাকা, একটি মোবাই ফোন ও গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের একটি স্বনের চেন ছিনিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে জীবননগর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আব্দুল আলিম জানান, মফিজ আজ দুপুরে দিলিপের দোকানে গিয়ে পাওয়ানা টাকা চাইতে গেলে দিলিপ টাকা দিতে অস্বীকার করে আদায় করে নিতে বলে কথা কাটাকাটি করতে থাকে একপর্যায়ে দিলিপ মফিজের গায়ে হাত তোলে জানতে পেরে সন্ধ্যায় শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে দুই পক্ষকে ডেকে একটি ফয়সালা করার জন্য ডাকলে আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই মারামারি বেধে যায়। এতে দিলিপ আহত হয়। তবে টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার কথা আমার জানা নাই। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এমন কোনো ঘটনায় থানার কেউ লিখিত অভিযোগ দেইনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্তের সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।