নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্রামের এক বখাটের উত্ত্যক্তের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এক স্কুলছাত্রীর লেখাপড়া। জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি কারণে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে সংশয়। দরিদ্র ভ্যান চালক পিতাকে বিষয়টি বাড়াবাড়ি করলে পরিনত ভাল হবে না মর্মে হুমকি প্রদান। বখাটের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি ভোক্তভোগী ও তার পরিবারের।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের প্রতিবন্ধী দরিদ্র ভ্যান চালক আহম্মদ আলীর মেয়ে আছমা( ১৬)স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী। প্রায় এক বছর যাবত থেকে একই গ্রামের পূর্বপাড়ার ছাত্তার আলীর ছেলে এলাকার চিহিৃত বখাটে রফিকুল ইসলাম ওরফে বাপ্পী আছমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। আছমা তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যক্ষান করার পর থেকেই বাপ্পি তাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। সেকারণে আছমা স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাপ্পি আছমাদের বাসার মোবাইল নাম্বার ম্যানেজ করেও তাকে তার সাথে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। বিষয়টি আছমার পরিবারের লোকজন বাপ্পির পরিবারকে জানালে বাপ্পি ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকদিন যাবত আছমাকে রাস্তা থেকে অথবা বাসা থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দিচ্ছে। তার ভয়ে আছমা ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে।
ভোক্তভোগী স্কুলছাত্রী আসমা অভিযোগ করে আরো বলে, বাপ্পির ভয়ে আমি বাড়ীর বাইরে বের হতে পারছি না। আমার সামনে এসএসসি পরীক্ষা। তার ভয়ে আমি টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারিনি। আছমার বাবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ভ্যান চালক আহম্মদ আলী বলেন, বাপ্পি অনেক যাবত আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন ও গ্রাম্য মন্ডলদের জানালেও কোন প্রতিকার হয়নি। বাপ্পির বাড়ীতে জানানোর পর বাপ্পি তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তোদের ও তোর মেয়ের ভাল চাস, তবে ভালোই ভাল তোর মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দে। না হলে পরিনতি কি হবে বুঝতে পারবি। মেয়ের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম দুচিন্তায় থাকা আছমার দরিদ্র পিতা বখাটে বাপ্পির শান্তির জন্য মানবাধিক সংগঠনসহ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। এবিষয়ে বখাটে বাপ্পির সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে দভোক্তির সুরে বলে, নিউজ করলে ওদের কোন সমস্যা না হলে আমারও কোন সমস্যা হবে না।
Leave a Reply