themesbaz_sky_19
ঘোষনা :
জাগোদেশ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম , সর্বশেষ সংবাদ জানতে জাগোদেশ২৪ ডটকমের সাথে থাকুন । জাগোদেশ২৪ডটকমের জন্য  সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।  আগ্রহী প্রার্থীগণ জীবন বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ ই-মেইল পাঠাতে পারেন। ই-মেইল:
পুরাতন খবর খুজছেন ?

কুষ্টিয়া তিন দিনের পর লালন উৎসব আজ শেষ হচ্ছে

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

জাগো দেশ, স্টাফ রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়িতে চলা তিনদিনের লালন উৎসব শেষ হচ্ছে আজ। রাত আটটার দিকে মূল মঞ্চের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এই লালন উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করবেন। তাই আর কি হবে মানব জনম বসবো সাধু মেলে’ এমন আকুতি থাকলেও সাধুসঙ্গ শেষে লালনের অহিংস মানবতার বাণী ছড়িয়ে দেবার আশায় তৃষ্ণার্ত মন নিয়ে ভবের হাট ছাড়ছেন ভক্ত- অনুসারীরা। পূর্ণতা সাধনের জন্য আবারও পরের উৎসবে যোগ দেবেন তারা।

শেষদিন হওয়ায় সেখানে চলা বাউল মেলা এখনও জমজমাট। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট লালন ফকিরের মৃত্যুর পর প্রতিবছর এই লালন উৎসব চলে আসছে। এবার ‘বাড়ির পাশে আরশীনগর, সেথা এক পড়শী বসত করে’ এই স্লোগানে ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে পহেলা কার্তিক বুধবার থেকে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী লালন উৎসব। যা আজ শেষ হচ্ছে। লালনের রীতি অনুযায়ী এই অনুষ্ঠানে এসে নিজেদের খাঁটি করে গড়ে তুলতে অনুসারী ভক্তরা সাধুসঙ্গ করেন। গতকাল দুপুরেই পূণ্য সেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গ শেষ হয়েছে। এর আগে অধিবাস, বাল্য, রাখাল সেবা পালন করেছে তারা। মূলত সাধুসঙ্গ শেষে গতকাল বিকেল ও আজ সকাল থেকে অনুসারীরা আখড়াবাড়ি ছেড়ে বাড়ি যেতে শুরু করেন। গতকালও যেখানটাতে দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তদের ভিড় ছিল সেখানটা এখন প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। যাবার সময় তারা লালন মাজারে ধর্মগুরুর প্রতি বিশেষ ভঙিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। পরে গুরু কার্যের মাধ্যমে গুরু শিষ্যের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা ফিরে যাচ্ছেন। লালন অনুসারীরা বলছেন, এখান থেকে অর্জিত লালন দর্শন লোকালয়ে ছড়িয়ে দেবেন তারা। তবে বেঁচে থাকলে ভাব তথ্যের আশা পূরণ করতে বা পূর্ণতা সাধনের জন্য তারা আবারও পরের উৎসবে যোগ দেবেন।
লালন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশ তিন স্তুরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এদিকে আজ শেষ দিন ও ছুটির দিন হওয়ায় আখড়াবাড়ির বাইরে চলা বাউল মেলা বেশ জমজমাট হয়েছে। অন্যদিকে কেউ কেউ এখনও আখড়াবাড়ির ভেতরে সাধু আস্তায় লালনের গান পরিবেশন করে চলেছেন। এর মধ্যেই নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলছেন দর্শনার্থীরা। লালন গবেষক ও লালন অনুসারী হৃদয় শাহ ফকির বলেন, এই লালন উৎসব যদি তাদের ভেতরকার স্বরণ ও মানবিকতাকে জাগ্রত করে তবেই এই উৎসব সার্থক। ভক্তদের মতে লালন তীর্থস্থানে এলে মনের কলুষতা থাকে না। তাই অবাধ্য মনকে শুদ্ধ করতেই সাধু-ভক্তরা বার বার আসবেন এই ভবের হাটে। জেবি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2019 jagodesh24.com
Design & Developed BY Anamul Rasel