জাগো দেশ রিপোর্টঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৫ সদস্য। শুক্রবার রাতে জাগো দেশকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান। কারা সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, তার চাচা শ্বশুর, শ্যালকসহ পরিবারের পাঁচজন সদস্য তার সঙ্গে দেখা করে কারাগার ত্যাগ করেছেন। এর আগে বুধবার দুপুরে মাজেদের (৭২) বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী। এদিন দুপুরে কারাগার থেকে খুনি মাজেদকে আদালতে হাজির করা হয়। মৃত্যু পরোয়ানা জারির আগে বিচারক আসামি মাজেদের বক্তব্য শোনেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে তার ভূমিকা সম্পর্কে আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে মাজেদ বলেন, ওই সময়ে তিনি অন্যান্য অফিসারদের (খুনি) সঙ্গে ডিউটিতে ছিলেন। তিনি কোনো বিষয়ই অস্বীকার করেননি। মাজেদ তার নাম-ঠিকানা
আদালতকে জানান। চার্জশিটে দেয়া নাম-ঠিকানার সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়ার পর আদালত উচ্চতর আদালতের রায় ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ তাকে পড়ে শোনান। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো খুনি মাজেদ নিশ্চুপ ছিলেন। এদিকে মৃত্যু পরোয়ানা প্রস্তুত হওয়ার পর বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা ও আদালতের এক কর্মচারী লালসালুতে আবৃত ওই মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেন। পরে ওইদিন বিকালে মাজেদ প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে। মাজেদের প্রাণভিক্ষার
আবেদনটি বঙ্গভবনে পৌঁছার পরপরই তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। এটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই। তবে ফাঁসি কার্যকরের আগে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের শেষবার দেখা করার
সুযোগ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর
গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি মাজেদককে গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৪ বছর ৭ মাস ২১ দিন পর গ্রেফতার হন খুনি মাজেদ।