মেহেদী হাসান মিলন ও আব্দুল্লাহ কার্পাসডাঙ্গা প্রতিবেদকঃ:দামুড়হুদার নতিপোতা ও নাটুদহ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থীদের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। গত রোববার রিটার্নিং অফিসার এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস প্রার্থীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন করেন। দিনব্যাপি যাচাই-বাছাই শেষে সকল প্রার্থীকেই বৈধ ঘোষনা করা হয়। উল্লেখ্য, নতিপোতা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নতিপোতা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নতিপোতার সন্তান আজিজুল হক আজিজ, বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হোগলডাঙ্গার সন্তান মনিরুজ্জামান মনির এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী নতিপোতা গ্রামের মোশারফ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা হোগলডাঙ্গার সন্তান হাজি রবিউল হাসান এবং আ.লীগ নেতা ইউপি সদস্য কালিয়াবকরি গ্রামের সন্তান ইয়ামিন আলী এই ৫ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ ছাড়া নাটুদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চারুলিয়া গ্রামের সন্তান বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথপুর গ্রামের সন্তান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমির হোসেন মাস্টার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জগন্নাথপুর গ্রামের গ্রামের সন্তান ইয়াচনবী, একই গ্রামের সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দ্রবাস গ্রামের সন্তান আব্দুল হালিম, একই গ্রামের সন্তান বিএনপি নেতা ফজলুল হক, চন্দ্রবাস গ্রামের সন্তান রেজাউল হক এবং চারুলিয়া গ্রামের সন্তান আমিনুল ইসলাম এই ৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।নাটুদাহ ও নতিপোতা ইউনিয়নে আ:লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিপাকে পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা এমনটাই অভিমত নির্বাচন বিশ্লেষকদের। নাটুদাহ ও নতিপোতা ইউনিয়নের আ:লীগের অনেক নেতাকর্মী জানান স্থানীয় এ নির্বাচনে দলীয় প্রতিকের পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক ইমেজ কাজ করবে।শুধু মাত্র প্রতিক পেলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করবে তা না।তাছাড়াও বিগত দিনের বিভিন্ন নির্বাচনে আ:লীগের নেতা কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীকে যোগ্য মনে করে তার পক্ষে কাজ করে জয়লাভ করিয়েছেন।যার কারনে এ নির্বাচনেও সে ধারাও অব্যাহত থাকবে।
যার কারনে অনেক আ:লীগের কর্মী সমর্থকই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে খুব সহজে ভোটের মাঠে নামবেন না।আবার অনেক নেতাই তাদের কর্মীদের প্রতিকের কথা বলেও নির্বাচনী মাঠে কাজ করাতে পারবেন না বলে অভিমত অনেকের।নাম না প্রকাশ করার শর্তে নাটুদাহ ও নতিপোতা ইউনিয়ন আ:লীগের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক জানান যারা বিগত দিনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করে নিজে নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।অতীতের নির্বাচনে বলেছেন এ নৌকা সে নৌকা না তেমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন না।তবে যে প্রার্থী নৌকার প্রকৃত কান্ডারী। প্রতিকের সাথে বেঈমানি করেন নি তার বিজয় নিশ্চিতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলেও জানান তারা।