themesbaz_sky_19
ঘোষনা :
জাগোদেশ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম , সর্বশেষ সংবাদ জানতে জাগোদেশ২৪ ডটকমের সাথে থাকুন । জাগোদেশ২৪ডটকমের জন্য  সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।  আগ্রহী প্রার্থীগণ জীবন বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ ই-মেইল পাঠাতে পারেন। ই-মেইল:
পুরাতন খবর খুজছেন ?

মাত্র সাড়ে ৪ মাসে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করলেন চাঁদপুরের ৯ বছরের শিশু আউয়াল

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল আউয়াল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে শতভাগ নম্বর পেয়ে এখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে ৯ বছরের এই শিশু। স্কুলের পাশাপাশি সম্প্রতি মাদ্রাসায়ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল অসম্ভব মেধাবী এই ছাত্র। গত বছর আগস্টে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভর্তি হয়ে মাত্র সাড়ে ৪ মাসে কোরআনে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আবদুল আউয়াল ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের মৌলভি বাড়ির মো. মোশারফ হোসেন (মোশারফ মাস্টার) ও মাজেদা
আক্তারের দুই সন্তানের মধ্যে বড়। তার বাবা একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
চাচা মুফতি মুনওয়ার ও দাদির ইচ্ছা আউয়াল কোরআনে হাফেজ হবে।
শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তাকে স্কুলের পাশাপাশি ভর্তি করা হয় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন একটি মাদ্রাসায়। গত বছর ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার নুরানি ও নাজিরা
শাখায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার অসম্ভব মেধার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় মাদ্রাসাজুড়ে। নুরানি ও নাজিরা শাখায় পর তাকে একই মাদ্রাসার হাফেজ
বিভাগে স্থানান্তর করা হয় গত বছর ৩১ আগস্ট। মাঝে স্কুলের সমাপনী পরীক্ষার কারণে মাদ্রাসা থেকে ১৫ দিনের ছুটি নেয় আউয়াল। পরীক্ষা শেষে ফের মাদ্রাসার পড়ায় মনোযোগ দেয়। ৩০ জানুয়ারি কোরআনে হাফেজের স্বীকৃতি পায় সে।
কথা হয় আবদুল আউয়ালের বাবা মোশারফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, ২০১০ সালের ২ নভেম্বর আবদুল আউলের জন্ম। প্রথম থেকেই তার মেধার পরিচয় পাচ্ছিলাম। তাকে আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করি সেখানে নিয়ে আসি। বিশেষ যত্নে তাকে পড়াচ্ছিলাম। ভীষণ দুষ্টু, অল্প সময় টেবিলে বসলেই সব কিছু তার আয়ত্বে চলে আসে। তিনি জানান, দাদি ও চাচার ইচ্ছা আউয়াল হাফেজ হবে। সে কারণেই মাদ্রাসায় ভর্তি করা। আমি তাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাই।
জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্ল্যাহ জানান, আউয়াল এক বছরের মধ্যেই নুরানি ও নাজিরা শেষ করে। ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট হিফজ বিভাগে ক্লাস শুরু করে। সাড়ে চার মাসেই সে সফল হয়। অল্পতেই তার পড়া মুখস্থ হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2020 jagodesh24.com
Design & Developed BY Anamul Rasel