নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামের মসজিদ পাড়ার ওয়াজ হাঁড়ার ছেলে জামায়াত নেতা শুকুর আলী হাঁড়ার বিরুদ্ধে তার নাবালিকা কন্যা দামুড়হুদা ব্রাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ডলি (১৩)কে বাল্যবিবাহ দেবার অভিযোগ উঠেছে।বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা নতুনবাস্তপুর গ্রামে শুকুর আলীর হাঁড়ার বাড়ি গেলে তার পরিবারের লোকজন বিয়ের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।তবে শুকুর আলী হাড়া আসলে তার কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে এবং তিনি মেয়ের বাল্য বিবাহ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি তড়িঘড়ি করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।এসময় সাংবাদিকরা তাকে ডাক দিলে তিনি দৌড়াতে দৌড়াতে বলেন আমি মেয়ের বিবাহ দিইনি।এসময় সাংবাদিকরা পাড়ায় বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা শুকুর আলীর মেয়ের বাল্য বিবাহের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন।তারা আরো বলেন মেয়েটির চাচাতো ভাই রাশিদুলের বিয়ের তিন দিন পরেই ডলির বিয়ে হয়েছে।তারা আরো বলেন ডলির জীবন নগর এলাকায় বিয়ে হয়েছে।জামাই বর্তমানে শুশুর বাড়িতে আটমোল্লায় রয়েছে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে বেশ কয়েকজন বলেন শুকুর আলীর কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।আইন সহায়তা কেন্দ্রের (আসক)ফাউন্ডেশনের জেলা সভাপতি মানবাধিকার কর্মী ডা:ফজলুল হক বলেন বাল্য বিবাহ বন্ধে সকলকে সচেতন হতে হবে।তাছাড়াও অনেক মেয়ের অভিভাবক মনে করেন বাল্য বিবাহ আগে পড়িয়ে দিলাম তার তিন চার মাস পরে মেয়েকে শুশুর বাড়িতে পাঠালাম তাহলে আমার কেউ কিছুই করতে পারবে না।প্রশাসন যদি এসব গোপন বিয়ের পর এসব অভিভাবকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে তবে অনেক অভিভাবকই সচেতন হয়ে যাবে।না হলে দেখাদেখিতে আরো অভিভাবক উৎসাহিত হবে বাল্য বিবাহ দিতে।কারন তারা মনে করবে গোপনে বিয়ে দিয়ে দিলে আর কিছুই হবেনা।শুকুর আলী হাড়া সহ বাল্য বিবাহে জড়িত ইমাম ও ছেলে পক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।