রাজধানী ডেস্ক জাগো দেশ ২৪ ডট কমঃ বুধবার ভোরে ধর্ষক মজনুকে বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর দুপুরে মজনুকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসে র্যাব। এ সময় র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম কীভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয় তা তুলে ধরেন। সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রথমে আমরা মেয়েটির হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। তদন্তে আমরা দেখতে পাই মোবাইলটি খায়রুল ইসলামের নামে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। পাশাপাশি মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। খায়রুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একজন রিকশাচালক। অরুণা বিশ্বাস নামে পরিচিত নারী তাকে মোবাইলটি ঠিক করার জন্য দেন। এরপর অরুণাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে অরুণা জানান, মজনু তার কাছে ডিসপ্লে ভাঙা একটি মোবাইল বিক্রি করে। সেটি খায়রুলকে মেরামত করার জন্য দেন তিনি। সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, নির্যাতিতা ছাত্রী ও অরুণার কাছ থেকে মজনুর চেহারার বর্ণনা নেয়া হয়। তাদের বর্ণনা মিলে গেলে আমরা নিশ্চিত হই সে-ই ধর্ষক। এরপর তদন্ত করে দেখি মঙ্গলবার সারাদিন মজনু বনানী রেলওয়ে স্টেশনে ছিল। কড়া নজরদারিতে রেখে বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটানোর
পর সে এয়ারপোর্ট স্টেশন দিয়ে নরসিংদী চলে যায়। এরপর মঙ্গলবার বনানীতে আসে।