নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দামুড়হুদার পুরাতন হাউলীর মাঠে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। আর এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। জানা যায়, দামুড়হুদার হাউলী গ্রামের আইসদ্দীন মন্ডল এর ছেলে চাঁনতারা মন্ডল তার পুরাতন হাউলীতে মাঠের নিজস্ব সাড়ে ৪ বিঘা জমির উপর পুকুর খননের নামে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছে পুরাতন হাউলী গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল গণির ছেলে রবিউল হোসেন (৩৮ ) বলেও অভিযোগ রয়েছে।

নিয়মবর্হিভূত খনন করায় হুমকির মুখে পড়েছে এই জমির আশেপাশে থাকা অন্যসব আবাদি জমি ও ফসল- সহ বসত বাড়ি।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, ৪০, ৫০ জন শ্রেমীক দিয়েমাটি কাটা হচ্ছে এবং এই মাটি ৯টি ট্রাক্টর বহন করে বিভিন্ন ভাটায় চলে যাচ্ছে। প্রতি গাড়ি মাটির জন্য ৯শ’ টাকা করে পরিশোধও করছেন ভাটা মালিকরা। জমির মালিক চাঁনতারা আলীর কাছে অনুমতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয় আমাকে মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন।‘আর আমার জমিতে আমি যা ইচ্ছা তাই করবো। এসময় তিনি নিজেকে অনেক ক্ষমতা শালী বলে পরিচয় দেয়, আর বলেন আমার নামে মামলা করো। আমি ওসব ভয় পাই না।

এবিষয় মাটি ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, এই মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছি। ফসলি মাঠের ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, পাশেরএকটি জমি থেকে বেশ কিছু দিন ধরে অবাধে ফসলি মাঠ খনন করেমাটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাটি ও বালি ব্যবসায়ী রবিউল। এতেআশপাশের আমাদের ফসলি জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু অবৈধমাটি কাটা বন্ধ করার মতো কেউ নেই। এদিকে আইসদ্দীন মন্ডল এর ছেলে চাঁনতারা আলী একজন ক্ষমতাবল ও প্রভাবশালী হওয়ায় সবাই চুপ থাকছে, কেউ অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না বলেও নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন সাধারন চাষি এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের ফসলি মাঠের মধ্যে সাড়ে ৪’বিঘাজমিজুড়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনভর মাটি কাটার কাজ চালিয়েগভীর খনন করা হচ্ছে। এতে আশপাশের জমিগুলো বর্ষামৌসুমে প্রবল ¯্রােতে ফসলি মাঠের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনারয়েছে। রবিউল রাজনৈতিক ও পেশিশক্তি খাটিয়ে ফসলি মাঠে লেভার দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাটির ব্যবসা করে চলেছেন। ফসলি মাঠের আরেক চাষি জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা কেউ শোনে না। মাটি কাটা বন্ধের ব্যবস্থা করে আমাদের কৃষি জমিটুকু রক্ষা করবে কে? অবৈধ পুকুর খননের নামে ভাটায় বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার মাটি দেখার কী কেউ নেই?

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানেরকাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুকুর খননের জন্য চাঁনতারাআলীকে কোন ধরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি আরওবলেন, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ পুকুর খননেরবিষয়টা তিনি নিজে খোঁজ নিবেন বলেও এই প্রতিবেদককে জানান।
