এনায়েত হোসেন নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী জেলার দ্বীপ হাতিয়ায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি ফারহান-৩ থেকে মোঃনূরনবী হৃদয় (১২)গতকাল ১১.৩০ মিনিটের সময় নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।এ সময় কোস্ট গার্ডের টিম খবর পেয়ে গতকাল থেকে টানা ৩০ ঘন্টা দিন রাত হাতিয়ার মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরাঅঞ্চল সমুহে তল্লাশি পর হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। হাতিয়া দক্ষিণ জোন কোস্ট গার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিশ্বজিৎ বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান,গতকাল যখনই দূর্ঘটনার খবর পাই ঠিক তখনই আমাদের কোস্ট গার্ডের টিম ঘটনা স্থলে গতকাল সোমবার সকাল থেকে উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই হৃদয়ের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজকেও আমরা সকাল থেকে হৃদয়ের জীবিত ও মৃত দেহ উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে বের হয় এবং সারাদিন মেঘনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের চরণগুলোতে তল্লাশি করা অবস্থায় আমাদের কাছে একটা জরুরি ফোন আসে তখন আমরা ট্রলারকে দক্ষিণ দিকে নিয়ে আসি এমন সময় সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা খালের দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে মৃত দেহ পড়ে দেখতে পাই।পরে চরচেঙ্গা নদীর কূল থেকে বিকেলবেলা হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে তমরদ্দি লঞ্চ ঘাটে নিয়ে আসি।এবং তমরদ্দি লঞ্চ ঘাটে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃইমরান হোসেন,এবং তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃফররুখ আহমেদসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে হৃদয়ের মৃত দেহ তার আত্মীয় স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃইমরান হোসেন সাংবাদিকসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বলেন,গতকাল থেকে টানা ২দিন কোস্ট গার্ড,ফায়ার সার্ভিস এবং চাঁদপুর নদী ফায়ার সার্ভিসের টিমসহ অনেক তল্লাশি করে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করতে পারে নাই।কিন্তু আজ সন্ধ্যা কোস্ট গার্ডের টিম অনেক তল্লাশি করে মেঘনা নদী থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে এবং আজ রাত প্রায় ৮টার সময় মোঃনূরনবী হৃদয়ের মৃত দেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করতে পেরে আমি একটু সস্থি পেলাম এবং হাতিয়া উপজেলার পক্ষ থেকে মৃত মোঃনূরনবী হৃদয়ের পরিবারকে নগর ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।এছাড়াও মোঃনূরনবী হৃদয়ের পরিবারের নামে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হবে। পরে রাত ১০টায় হৃদয়ের লাশ দাপন করা হয়।