মলান্দহ জামালপুর প্রতিবেদকঃ জামালপুরের মেলান্দহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ দিন যাবৎ দফায় দফায় সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুর ইউপির আমডাঙ্গা বাজারে। জানা গেছে, ৩ দিন আগে আমডাঙ্গা গ্রামের ভটভটি ড্রাইভার আবুল কালামের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে হাজী রমজান আলীর ছেলে এনামুল হকের জমির উপর দিয়ে ইটের গাড়ি নেয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এই ক্ষোভে এনামুল হক আমডাঙ্গা বাজারে আসলে জাহিদুলের লোকজন এনামুলকে মারপিট করে। এ নিয়ে প্রতিবেশি ডা. আলহাজ রমিজ উদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, কেয়ামত আলীর ছেলে দুলাল উদ্দিন বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। এরপরও জাহিদুলের লোকজন এনামুল হককে আবারো প্রহার করলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি ফের নিষ্পত্তির জন্য ২৯ জুন সন্ধ্যায় আমডাঙ্গা বাজারে দুলাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ও ছানোয়ার কবির, ফয়সাল মিয়া, সাইফুল ইসলাম শাওন, হাফেজ শেখ ফরিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালে দুলাল উদ্দিন ড্রাইভার জাহিদুলের পক্ষ নিয়ে উত্তেজিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনকে পিটিয়ে আহত করলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম মন্টু, রনজু মিয়া,শাহীনুর ইসলাম, রুকন উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল হক, আ. মান্নান, আনোয়ার হোসেন ও রানী বেগম গুরুতর আহত হয়।
৩০ জুন বিকেল ৫টার দিকে দুলাল পক্ষের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের পক্ষের আসাদুজ্জামান সরকারকে আমডাঙ্গা বাজারে পেয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মুকুল মাস্টার, আসাদুজ্জামান সরকারসহ উভয় পক্ষের আরো ৮/১০ জন আহত হয়। তারা জামালপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবর পেয়ে মেলান্দহ ও ডিগ্রির চর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খানু জানান, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।