বার্তা রিপোর্টঃ মাধবদী পৌরএলাকার পার্শ্ব বর্তি গ্রাম বালুচরের এক অসহায় তরুনী গনধর্ষনের মামলা টি সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে অাপসের চেষ্টা করছে একই গ্রামের টাউট মাতবর সাহেব অালী, বাদী পাবে মাত্র ২ লক্ষ টাকা এই কথা গুলি ঐ গ্রামের মানুষের মুখে যাচ্ছে। খোজ নিয়ে জানাযায় মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুচর গ্রামে গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ গণধর্ষণের মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটে। পরে মাধবদী থানায় অপহরণের করে গণধর্ষণের অপরাধে মামলা হয়। মামলা নং নম্বর ১০/৩৮২ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ধারা -৭/৯ (৩)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মাকে বিভিন্ন ভাবে প্ররোচিত করে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের মতো জঘন্যতম মামলা দামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে একই এলাকার প্রভাবশালী সাহেব আলী পিতা মুত গনি মিয়া।সাত লাখ টাকার মধ্যে মেয়ের মা যিনি অত্র মামলার বাদী তাকে মাত্র দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাকী টাকা টাউট সাহেব অালী নিজের পকেটে নেওয়ার পায়তারা করছেন।।
এলাকা বাসীর কাছ থেকে আরো জানাযায় মামলায় তিন আসামি জেলে থাকলেও বাকী আসামিরা এলাকায় পপ্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এব্যাপারে মহিষাশুড়া ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের সদস্য অলিউল্লা বলেন, বিগত ছয় সাত মাস আগে আমাদের এই বালুচর গ্রামের একটি নিরীহ গরীব মেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ হওয়াতে মহামান্য আদালত তার বিচার করবেন। এজন্য অামরা মিমাংসা করতে অাসিনী। কিন্তু যতটুকু জানতে পেরেছি, একটি টাউট প্রকৃতির মাতবর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষ কে হুমকি-ধমকি দিয়ে আপসের জন্য বাধ্য করতেছে। এমন অপরাধ যদি টাকার বিনিময়ে মিমাংসা হয় তাহলে সমাজে নারীদের সম্মান নিয়ে যে কোন ব্যাক্তি ছিনিমিনি খেলতে সাহস পাবে। আমি মহামান্য আদালতের মাধ্যমে বিচারে বিশ্বাসী যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায় এবং এমন জঘন্যতম অপরাধে টাকার বিনিময়ে কেউ আপস করার সাহস না দেখায়। সাহেব আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন লিখে যা করার করেন। তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং অশালীন কথাা বলেন। এবিষয়ে ধর্ষিতা মেয়ের সাথে কথা বললে সে জানায় আমরা তাদের সাথে মিলে গেছি। মেয়ের ভাবী বলেন, সাহেব আলী বলেছেন একই এলাকার মানুষ তাই কিছু টাকা দেই তোমরা মিলে যাও। টাকা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, না টাকা সাহেব আলীর কাছে । তিনি বলেছেন আসামীরা বের হয়ে আসলে টাকা আমাদের কে দিবেন। সাত লাখ টাকার থেকে কত টাকা আপনাদের কে দিবে জানেন? প্রশ্নের জবাবে মেয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় কিছু টাকা দিবে বলছে সাহেব আলী। কত টাকা দিবে জানিনা। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।এই সাহেব অালী বালুচর গ্রামের বহু অপরাধের সাথে জরিত বিস্তারিত অাসছে।