গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই বাতিলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদ তথ্য ফরম প্রদানের দাবীতে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছে।৫ ফেব্রয়ারি রোজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার হাজী সামসুল আলম সোনা, আজগর আলী, ইয়াসিন আলী, গোলাম মস্তফা ও ডাঃ মোশাররফ হোসেন।সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান হানী ও হেয়
প্রতিপন্ন করে অভিযুক্ত বানিয়ে সরকারি পরিপত্রকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীতে চৌকিদার দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে অসম্মান করা হয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের নামে যে ফরম অনলাইন (ইউথ ক্যাম্প) এটা আবেদনকৃত
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রযোজ্য। এই ফরম ভাতাভোগী লাল মুক্তিবার্তা, সরকারী গেজেট ও সনদধারী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নহে। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নষ্ট করার জন্য লিপ্ত আছে যার তীব্র প্রতিবাদ
জানানো হয়। এছাড়াও সভায় অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের
কার্যক্রম বন্ধসহ ফরম বাতিলের জোর দাবী জানানো হয়। আলোচনা সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজসেবা কর্মকর্তার দপ্তরে স্মারকলিপি পেশ
করেন।উল্লেখ্য যে, গত ২৮/০১/২০২০ ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিবের স্বাক্ষরিত পত্র মারফত কাথুলী, তেঁতুলবাড়ীয়া, কাজিপুর, বামুন্দি, মটমুড়া ও সাহারবাটি ইউনিয়নের মোট ৬৭জন অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা সভাকক্ষে হাজির না হয়ে কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন।অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা যাচাই-বাছাই কমিটিকে অগ্রাহ্য করে সভাকক্ষে হাজির না হয়ে কমিটিরই বিরুদ্ধে মানববন্ধন
করেছেন এ ব্যাপারে কমিটির সিদ্ধান্ত কি ? এমন প্রশ্নের জবাবে কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ মকবুল হোসেন জানান সরকারী বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছায়ের কার্যক্রম চলমান আছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী ধানখোলা, ষোলটাকা, রাইপুর ও পৌরসভার অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।আজকে যেসকল মুক্তিযোদ্ধারা অনুপস্থিত থেকে কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন তাঁরা যদি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী তারিখে হাজির হয় তাঁদের কি পুনরায় যাচাই- বাছাইয়ের সুযোগ দেয়া হবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কার্যক্রম চলাবস্থায় অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা হাজির হলেই তাঁদেরকে সুযোগ দেয়া হবে। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন বলেন, অভিযুক্ত
মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চালু আছে চলবে।অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা যাঁরা আজ অনুপস্থিত ছিল তাঁদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখের কার্যক্রম শেষ হলে সরকারি বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।