কার্পাসডাঙ্গা অফিস : দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের এক অসহায় গরীবের ১২ বছরের গচ্ছিত বীমার টাকা না দেবার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের বিএনপির দাপুটে নেতা সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কর্মী ওদুদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে দিনমুজুরী আব্দুল্লাহের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে মাসে মাসে ৫০ টাকা করে ১২ বছরের মেয়াদে একটা বীমা চালাচ্ছিলেন। বীমাটি কয়েক বছর আগে শেষ হলেও এখনো টাকা তিনি পাননি। এবিষয়ে আব্দুল্লাহ সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মাসে মাসে ৫০ টাকা করে বীমার টাকা জমা দিতো উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বলদি পাড়ার মৃত আলিহিমের ছেলে বিএনপি নেতা সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কর্মী মোঃ ওদুদের কাছে। গচ্ছিত টাকা দ্বিগুন হবে বলে টাকা নিতো সে। ২০১৫ সালে মেয়াদ শেষ হলেও সে আমাদের টাকা দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে শুধু ঘুরাই। আজ হবে কাল হবে বলে দীর্ঘ কয়েক বছর আমাদের ঘুরাতে থাকে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সান লাইফ বীমার নাম করে টাকা নিতো সে।তার কাছে বীমার রসিদ বই সব আছে । এখন তার বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে সে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। সে উত্তেজিত হয়ে খুন করার হুমকিও দেই। তিনি আরো জানান এলাকায় এরকম অনেক লোকের কাছ থেকে বীমার নাম করে টাকা নিয়ে আর টাকা দিচ্ছে না তিনি। এবিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ ওদুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আগে আমাদের অফিস ছিলো কার্পাসডাঙ্গা বর্তমানে অফিস রয়েছে কুষ্টিয়াতে ওনাদের বীমার টাকার চেক চলে এসেছে চুয়াডাঙ্গাতে। ওনাদের আমার কাছে আসতে বলেন আমি যেখানে যেতে বলবো সেখানে গেলেই টাকা পেয়ে যাবে। অনেক দিন ধরে ঘুরানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনার সাথে আমার বিষয় না বিষয়টি ওনাদের সাথে। তিনি আরো জানান আমি এই সংস্থার সাথে এখন আর তেমন জড়িত নেই।এ বিষয়ে জানতে ওদুদের কাছে সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির উদ্ধর্তন কৃতপক্ষের নাম্বার চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন।সচেতন মহলের অনেকে বলেন ওদুদের মত লোকের কারনে একটি প্রতিষ্ঠিত বীমার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।অসহায় গাহকটির বীমার দাবী পূরন করে কোম্পানির সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বীমা কৃতপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল