শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
কার্পাসডাঙ্গা পীরপুরকুল্লার ব্রাকের কর্মী সাইফুল হত্যার এজাহার ভুক্ত পলাতক ৫ আসামী রতন – আ:হাই-সাখাওয়াৎ-স্বপন-মামুন ঢেঁকির এর অপরাধ জগতের উত্তান স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি, অভিযোগ যৌতুকের দাবি শ্বশুরকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করল জামাই করোনাকে জয় করে সুস্থ হলেন আরও ২৪৩ জন পুলিশ সদস্য মেহেরপুর ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক রিয়াদ আহ‌মেদ সরকা‌রের খাদ‌্য সহায়তার খবর বাংলা‌দেশ আওয়ামী‌ লী‌গের অ‌ফি‌সিয়াল পেই‌জে প্রকাশ গৃহবধুকে গাছের সাথে বেঁধে শরীরে গরম লোহার ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ পতেঙ্গায় মাদকসহ দুই পাচারকারী আটক সুন্দরবনে পথ হারাল ছয় কিশোর, উদ্ধার করল ৯৯৯

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী

Reporter Name / ২৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

জাগো দেশ ডেস্কঃআধুনিক শিল্পকলা চর্চার পুরোধা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য এ শিল্পী। তার জন্ম ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জে। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, মানুষের দুর্দশা, কষ্ট ও সংগ্রামই ছিল জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের প্রধান উপজীব্য বিষয়। তিনি এঁকেছেন ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র। শিল্পীর কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিপুল প্রশংসা ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি ‘শিল্পাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত হন। তারই উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পাচার্য জয়নুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ময়মনসিংহে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা গ্যালারি। মাত্র ষোল বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি বন্ধুদের সাথে কলকাতায় গিয়েছিলেন শুধুমাত্র কলকাতা গভর্নমেন্ট স্কুল অব
আর্টস দেখার জন্য। কলকাতা গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস দেখে আসার পর সাধারণ পড়াশোনায় জয়নুল আবেদিনের মন বসছিল না। তাই ১৯৩৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই স্কুলের পড়ালেখা বাদ দিয়ে কলকাতায় চলে যান এবং মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস-এ ভর্তি হন। তার মা জয়নুল আবেদিনের আগ্রহ দেখে নিজের গলার হার বিক্রি করে ছেলেকে কলকাতার তখন আর্ট স্কুলে ভর্তি করান। পরবর্তী সময়ে ছেলে জয়নুল আবেদিনও মায়ের সেই ভালবাসার ঋণ শোধ করেছেন দেশের স্বনামধন্য শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে। জয়নুল আবেদিন ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার
সরকারি আর্ট স্কুলে পড়েন। ১৯৩৮ সালে কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর