স্টাফ রিপোর্টারঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বিদ্যুৎ তারের উপর গাছ পড়ে সেই গাছ না কাটাকে কেন্দ্র করে পূর্ব জমি সক্রান্ত বিরোধের জেরে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও বিবাহিত মেয়ের উপর হামলা করেছে শত্রুপক্ষ। ২৩ মে শনিবার সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃতুঃ ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে আঃ হান্নান হাওলাদারের পরিবারের উপর একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে বেল্লাল হাং, হেল্লাল হাওঃ ও সংগীয় জসিম, নাছির, শাহ আলম, উভয় গাছ না কাটায় কথাকাটা কাটির পরে দেশিয় অস্র নিয়া হান্নান হাওলাদারের উপর আঘাত হানে। এসয় হান্নানের মেয়ে হান্নান কে রক্ষার জন্য এগিয়েএলে তাকে ও পিঠিয়ে মারাক্তক জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর জখম মোহসেনাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এবং হান্নানের স্ত্রী ও হান্নানকে উদ্ধার করে প্রথমিক চিকিৎসা দেয়।
সরজমিনে গেলে স্থানিয়রা সাংবাদিকদের বলেন, বেল্লাল ও হেল্লাল গংরা বহুত দুর্ধষ প্রকৃতির লোক সামান্ন ব্যাপারে এরা যে কান্ড করেছে তা বহুত অন্যায়। মোহসেনানর শারিরিক অবস্থা ভালনা। মোহসেনার মা রহিমা বেগম বলেন, আমার বিবাহ দেয়া মেয়ের উপর ওরা আঘাত করেছে, আমি তাদের কাছে পা ধরে মাপ চাইতে গেলে উল্টো আমাকে কিল, ঘুসি ও লাঠি দিয়ে মার ফিট করে। আমরা এর কঠোর বিচার দাবি করছি।
এ বিষয় হান্নান হাওলাদার বলেন, আমি সাহ আলমের বাড়ির সামনে থেকে হেটে যাওয়ার সময় ও আমাকে অকাত্ত ভাষায় গালি দেয় পরে আমি সেখান থেকে চলে যাই কাজে পরে আসার পথে আমাকে দেশিও অস্র দিয়ে মারার কথা বলে, এই কথার প্রতিবাদে আমাকে হাত দিয়ে চয়ার মারে। পরে আবার ওরা দলবেঁধে আমাকে মারতে আসে তখন আমার মেয়ে ওদের কে থামাতে এলে ওকে মেরে জখম করে এবং আমার স্ত্রী ওদের কাছে আকুতি বিনতি করতে গেলে তাকেও মার ফিট করে। তিনি আরও বলেন পূর্বে জমি সংক্রান্ত সমস্যা আছে কিন্তু সেটা সমধান হবে এই ঈদের ২/৩ দিন পরে কিন্তু তার আগেই এই সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাকে ও আমার পরিবারের উপর হামলা করে এবং ওরা বলে এ বিষয় যদি নিয়ে বারা বারি করি তাহলে জীবনে মেরে ফেলবে। এঘটনার আমি কঠিন শাস্তি চাই এবং সরকারের সহযোগিতা চাই আর না হলে আমরা বাঁচবো না।
এ ঘটনার ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মোহসেনার পিতা আঃ হান্নান হাওলাদার। ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনর্চাজ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটণা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি ঘটনা আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা ব্যাপারটি দেখছি। উল্লেখ্য, হান্নান হাওলাদার একজন আলেম এবং কবিরাজি ব্যবসা করেন, এই দূ সময়ে তিনি গাছ কাটার কাজের মানুষ না পাওয়ায় সে গাছটি কাটতে পরছিল না, তবে ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই কাজের লোক পায় এবং গাছ ও কাটা সুরু করেছে কিন্তু তার পরেও হান্নান ও তার পরিবার এই বর্বরতার শিকার হলেন।