মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে সাজা সিআর গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী আটক দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যাবসায়ি আটক ২ আন্দুলবাড়ীয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবক নিহত যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট আজ আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান প্রয়াত ডাক্তার রওনক তুহিনের ১ম মৃত্যু বার্ষিকি উপলক্ষে আলোচনা, মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র ও নারীসহ উভয়পক্ষের ৭জন আহত পানি বন্ধী মানুষের খোঁজখবর নিলেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু করোনায় কোরবানি ও ঈদের নামাজ বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া কেমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা জরুরি? অভিনেত্রী কেলি প্রেস্টন মারা গেছেন

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের শিশু মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করলেন বাবা

Reporter Name / ৬৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবার হাতেই হত্যার শিকার হয়েছে দেড় বছরের শিশু মেয়ে ফারজানা সুলতানা রাহিমা।
সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু।
ঘাতক মনু চন্দ্রগঞ্জ ইউপির পূর্ব রাজাপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
আদালতে দোষ স্বীকার করে ফয়েজ আহাম্মদ মনু হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, তাদের পাশের বাড়ির মতিনদের সঙ্গে জমি পরিমাপ এবং বিদ্যুতের লাইন টানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদেরকে হত্যা মামলায় ফাঁসাতেই নিজের শিশু
মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। গত ৫ মে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাড়িতে খেলাধুলা করছিল তার শিশু রাহিমা। এ সময় সবার অজান্তে রাহিমাকে কোলে তুলে বাড়ি থেকে একটু দূরে নির্জন ঝোপের কাছে নিয়ে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ সেখানেই লুকিয়ে রাখে মনু। এরপর বাড়িতে এসে তার মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে সে। সারাদিন চলে যাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মেয়ে হারানোর জিডি করেন মনু নিজেই। এরপর পুলিশসহ বাড়ির আশপাশের বিভিন্ন স্থানে শিশু রাহিমাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়।
কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি। গত ৮ মে রাত ১২টার পরে শিশু রাহিমার মরদেহ ওই ঝোপের কাছ থেকে নিয়ে এসে নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় মনু নিজেই। পরদিন সকাল ৭টায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় ফোনে খবর দেয় তার
মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে তার বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের ভেতরে। এরপর পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু রাহিমার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় শিশু রাহিমার মা রাশেদা আক্তার সুমি বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, শিশুটি নিখোঁজ হওয়া এবং মরদেহ উদ্ধার থেকে তার বাবার গতিবিধি পুলিশের কাছে সন্দেহ হচ্ছিল। এসপি ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নির্দেশে বাবা মনুকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জেরার মুখে মেয়ে
রাহিমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। পরে হত্যার পরিকল্পনা ও মরদেহ গুমের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মনু।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর