
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ জাহিদুল ইসলামের কর্মী লিটন ও যুবলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান পলাশের সমর্থক রকির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিকালে খাড়াগোদা বাজারে জাহিদুল ইসলামের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাশেদুজ্জামানের ওপর হামলা করে। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গড়াইটুপি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ঝন্টু মন্ডল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
সভাপতি লিটন আলীর অবস্থা গুরুতর। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগ সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের অভিযোগ,আমাকে হত্যা করতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ও শুকুর
আলীর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করেন। বলেন, পলাশের ইন্ধনেই আমার কর্মী লিটনের ওপর হামলা চালানো হয়। বিকালে আমরা কয়েকজন বিষয়টি জানতে গেলে তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার পক্ষের চার জন আহত হয়েছেন। দর্শনা থানার ওসি মাহববুর রহমান জানান,
সংঘর্ষের পরই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষই
মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।