জানাগেছে, উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মুনতাজ আলীর ছেলে মুরগীর খামার মালিক শরিফুল ইসলাম (৩০) প্রতিদিনে ন্যায় খামারে মুরগীর খাবার দিতে যায়। ৫
এপ্রিল রামে খামারে মুরগীর খাবার দিতে গেলে গ্রামের কয়েকজন যুবক খামারে এসে খামারে নারী নিয়ে ফুর্তি করার কথা নিয়ে মালিক শরিফুলকে আটক করলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খামারের থাকার ঘর থেকে একই গ্রামের আরজুল্লার মেয়ে লাবনী খাতুনকে দেখতে পায় প্রতিবেশি যুবকরা।
যুবকদের দাবী লাবনী খাতুন শরিফুলের ভাতিজি হয়। দীর্ঘদিন ধরে শরিফুল প্রেমের সম্পর্কের সুত্রধরে খামারে লাবনীকে নিয়ে রাতে ফুর্তি করে। লাবনী খাতুনের ইতোপূর্বে ২/৩ জায়গায় বিয়ে হয়। বর্তমানে তালাক হয়ে বাবার বাড়িতেই থাকে। এসময় রাতের আধারে খামারে লাবনীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মারধর করেছে। রাতেই ওসমানপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ খামার থেকে লাবনীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আছে। সকালে শরিফুল আলমডাঙ্গা থানায় তার খামারে ওই মেয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে ঢুকিয়ে দিয়ে একই গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে শাকিল, মাহাতাব আলীর ছেলে
জিয়ারুল, জামাত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামসহ ৭/৮ জন মিলে মারধর করেছে বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে, লাবনী খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। লাবনী খাতুন বলেন, শরিফুলের
সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক আছে। ওই রাতে শরিফুল আমাকে ডেকে নিয়ে আসছিল। শরিফুল জানায়, শাকিলসহ সবাই মাদকাসক্ত। ক্যাম্পে কেবা
কাহারা মাদকাসক্তে তালিকা দিয়েছে। এই তালিকা আমি দিয়েছি এই শত্রুতার জেরধরে রাতে খামারে মুরগীর খাবার দেওয়ার সময় শাকিলসহ ৭/৮ জন আমার খামারে এসে বলে তোর খামারে মেয়ের নিয়ে এসে ফুর্তি করছিস। এ কথা বলতেই চেন দিয়ে আমার হাত বেধে মারপিট করতে শুরু করে। পরে আমার আমার
পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ছুটে আসলে আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়।