জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই মোন্নাপাড়া গ্রামের এক।সন্তানের মা নুরবানু খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ স্বামী ও ননদের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। নির্যাতনে নুরবানুর প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়ায় শুক্রবার (১৩ মার্চ) তাকে বগুড়ার
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরকীয়ার কথিত অভিযোগে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে স্বামী মিনহাজুল,ননদ চামেলি বেগমকে সঙ্গে নিয়ে চামড়ার বেল্ট ও বাঁশের লাঠি দিয়ে সারা শরীরে মারপিট করে। এতে নুরবানুর হাত-পাসহ পুরো শরীরের রক্ত কালো ছোপ ছোপ
দাগ হয়ে যায়। নির্যাতিত গৃহবধুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে,কথা কাটাকাটির জের ধরে গত বুধবার স্বামী সিএনজি চালক মিনহাজুল তার বোনসহ নুরবানুকে মারপিট করে। খবর পেয়ে নুরবানুর বাবা নুরুল বাড়ি গিয়ে দেখতে পান তাঁর মেয়ে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। সেখান থেকে অচেতন
নুরবানুকে নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকডা. মো.ইমতিয়াজ বলেন,তার আঘাতের তীব্রতা খুবই বেশি আঘাতের কারণে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়া তার কিডনীর ক্ষতি হতে পারে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার দুপুরে তাকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কালাই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। নুরবানুর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন,মিথ্যা অভিযোগ এনে ওরা আমার মেয়েটার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মেয়ের চিকিৎসা করার মতও আমার সামর্থ নেই। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেল ৪টা৩২ মিনিটে মোবাইল ফোনে গৃহবধূ নুরবানুর স্বামী মিনহাজুল এর কাছে স্ত্রীকে মারপিট করার কারণ জানতে চাইলে,‘একটু পরে জানাচ্ছি বলে তিনি ফোন কেটে দেন’ কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান বলেন,‘এ
ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি এটা তাদের স্বামী- স্ত্রীর অভ্যন্তরীণ বিষয়। পরকীয়ার কথাও শুনছি। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।