বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গ্রাম আদালত। উচ্চ আদালত গুলোতে মামলার জট যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে প্রায় শতভাগ মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলার জট নিরসনে পথ দেখাচ্ছে গ্রাম আদালত। আর উচ্চ আদালতে মামলার জট নিরসন, ছোটখাট দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি ও অল্প সময়ে স্বল্প খরচে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বিচার প্রাপ্তিতে সুবিধা দিতেই ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত চালু করে সরকার।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় বাগেরহাটে গ্রাম আদালত (২য় পর্যায়) প্রকল্পের অধীনে জেলার ৬টি (চিতলমারী,ফকিরহাট,কচুয়া, মোংলা, রামপাল ও শরণখোলা) উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে ২০১৭ সাল থেকে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলার এ ৬টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত গ্রাম আদালতে মোট ৫হাজার ৩শ ৩১টি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজার ৮শ ৮৫টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি হয় গ্রাম আদালতে। নিজ নিজ ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান এবং আবেদনকারী ও প্রতিবাদকারী মনোনিত ২জন করে ৪ জন প্রতিনিধিসহ ৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয় এ আদালত। গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে সভা আহবান করা হয়।
সরকারি সেবা মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন, গ্রাম আদালত তার একটি। অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং সহজে মামলা নিষ্পত্তির সুযোগ থাকায় দিনে দিনে ভরসা বাড়ছে এ আদালতে। আর এর ফলে জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জনসাধারনের মাঝে দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে গ্রাম আদালত। সর্বোচ্চ ১শ ২০দিনের মধ্যে এই মামলা সমাধান করা হয়। ফলে সাধারন জনগন অতিমাত্রায় গ্রাম আদালতের নিষপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে।