themesbaz_sky_19
ঘোষনা :
জাগোদেশ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম , সর্বশেষ সংবাদ জানতে জাগোদেশ২৪ ডটকমের সাথে থাকুন । জাগোদেশ২৪ডটকমের জন্য  সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।  আগ্রহী প্রার্থীগণ জীবন বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ ই-মেইল পাঠাতে পারেন। ই-মেইল:
পুরাতন খবর খুজছেন ?

আগামীকাল চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ১১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে চুয়াডাঙ্গা মুক্ত হয় ৭ ডিসেম্বর। এ দিনেই চুয়াডাঙ্গা জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। জয়ের আনন্দে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কাগজের তৈরি জাতীয় পতাকা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ে এসে সমবেত হয়। এই জয়ের আনন্দের পুরোনো স্মৃতি চারণ করে প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে ডা. আসাব উল হক হ্যাবার বাড়িতে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল এক সভায় চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত যশোর ক্যান্টনমেন্টে পাক বাহিনী যে কোনভাবে জেনে যায়। ফলে তারা চুয়াডাঙ্গা দখলের জন্য ৫ এপ্রিল রওনা দেয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে তারা পৌঁছিয়ে বাজারে নিরস্ত্র বাঙালীর উপর গুলি বর্ষণ করে। ফলে সেখানে মারা যায় আনুমানিক ৪০০ জন বাঙালী। তারা ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৬ এপ্রিল পাক বাহিনী গোটা চুয়াডাঙ্গা শহর দখল করে নেয়। তারা বিভিন্ন ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়, লুট করে দোকান ও হত্যা করে অনুমানিক ১৫০ জন বাঙালীকে। দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর-রতনপুর গ্রামে পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ আগস্ট সন্মুখ সমরে যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন কিয়ামুদ্দিন, হাসানজামান, আবুল কাশেম, রওশন আলী, রবিউল ইসলাম, আলাউল ইসলাম খোকন, আফাজউদ্দীন ও তারেক রহমান। এই ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার দেহ পাক সেনারা একটি গর্ত খুঁড়ে তাতে পুঁতে রাখে। পরে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে জগন্নাথপুর গ্রামে সমাহিত করে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন তিন একর জমির উপর ৮ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ৮ কবর সংস্কার, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ভবন ও একটি পার্ক প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে এটা একটি দর্শনীয় স্থানে রুপ নিয়েছে। ১৯৭১ সালে ৭ আগস্ট জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক বাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর, আব্দুর রশিদ, আবু বকর, আব্দুল আজিজ ও সিদ্দিক আলী শহীদ হয়। এ গ্রামে তাদের সমাহিত করা হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল জানান, এদিন সকাল ৭টায় শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ৮টায় জগন্নাথপুর ৮ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও বাদ আছর মিলাদ মাহফিল এবং সন্ধ্যায় শহীদ হাসান চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এদিনকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2020 jagodesh24.com
Design & Developed BY Anamul Rasel