চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা। হেমন্তজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মাঠ থেকে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে খেজুর গাছেও এসেছে রস খেজুর রস সংগ্রহ করার জন্য আগেই খেজুরগাছ পরিষ্কার করে হাঁড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করতে হয়। তাইতো এখন খেজুর গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাঁড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করার কাজ চলছে। হেমন্ত-শীতে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তাই শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে গাছিরাও এরই মধ্যে খেজুর গাছ প্রস্তুত করে রস আহরণের কাজ শুরু করছেন। খেজুরের রস ও খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি বাংলার ঐতিহ্য পিঠা- পায়েস শীতের সময়ের অন্যতম আকর্ষণীয় খাবার। যদিও সেই সোনালী দিন আজ আর নেই। তবুও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছিরা খেজুর গাছ তৈরির কাজ শুরু করেছেন।

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি এলাকার গাছি আশা মিয়া জনান, এক সপ্তাহ ধরে খেজুর গাছ প্রস্তুত করছেন তিনি। খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য দা ও কোমরে দড়ি বেঁধে খেজুর গাছে উঠে হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় গাছ তৈরি করতে হয়। পরে রসের জন্য প্রস্তুত গাছের অংশে নল বসানো হয়। সেই নল বেয়ে নেমে আসে মিষ্টি খেজুরের রস। এ বিষয়ে গাছি মফিজদ্দীন বলেন, ‘এই বছর আমার এলাকায় ২১টি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য গাছ তৈরি করছি। তাই এখন খেজুর গাছের ডালপালা কেটে হাঁড়ি লাগানো হচ্ছে। এ বছর প্রতিটি খেজুর গাছের ডালপালা কেটে নিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে থাকেন। আর প্রতিদিন ১০-১৫টি গাছ প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
