জোবায়েরফরাজী,বাগেরহাটঃ বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনার প্রভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থার অবসানকল্পে বাগেরহাটে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড’র (বিআরডিবি) আওতাধীন বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে কর্মরত কর্মচারীরা বকেয়া বেতন ও ভাতার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। আজ মক্সগলবার দুপুরে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে বিআরডিবির উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউসিসিএ কর্মচারী ইউনিয়নের বাগেরহাট জেলা সভাপতি আশুতোষ পান্ডে, সাধারণ সম্পাদক মো. মারুফ হোসেন, বিআরডিবি কর্মচারী সংসদের বাগেরহাট জেলা সভাপতি শেখ রহমত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. অলিউল রহমান, বিআরডিবি কর্মচারী শেখ মতিয়ার রহমান, শফিকুল ইসলাম, রতন দাস, এনামুল কবির, বরকত খান প্রমুখ। ভুক্তভোগী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, দেশের উন্নয়নে যারা কাজ করেন তাদের ব্যতিরেকে দেশের উন্নয়ন কখনো সম্ভব না।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব জনিত ঋণ কার্যক্রম স্থবির রয়েছে। ফলে, অসহায় ও মানবেতর অবস্থায় তাদের দিন কাটছে। বিতরণকৃত ঋণের আদায়কৃত সেবামূল্য (সার্ভিস চার্জ) আদায় করতে না পারলে এদের বেতন ভাতা হয়না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যার ফলে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।
শরনখোলা উপজেলা মাঠ সহকারী শেখ মতিয়ার রহমান জানান,“ ১৯৯৫ ও ২০০৫ সালের ‘উন্নয়ন প্রকল্পের জনবলকে রাজস্বে স্থানান্তর’ বিধিমালা কার্যকর হয়নি। তাই আমরা কয়েকমাস ধরে আমরা বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হই। এই বেতনের উপর আমাদের পরিবার, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া চলে। এখন বেতনভাতা না পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় বসতে হবে আমাদের। তাই, প্রধানমন্ত্রী তথা দেশনেত্রীর হস্তক্ষেপে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে এ অবস্থার থেকে পরিত্রান করার অনুরোধ রইল।” শুধু মাত্র মতিয়ার-ই নন, শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও একই অবস্থা। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে বাগেরহাট এর উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দীন বলেন, “সার্ভিস চার্জের একটি অংশ দিয়ে যেহেতু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হয়, যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব জনিত ঋণ কার্যক্রম স্থবির আছে। সেহেতু আদায় না থাকলে বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থার অবসান ঘটলে পুনরায় তাদের বেতন ভাতা দেওয়া সম্ভব হবে”।