স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনায় ওয়াসার কাজের গাফিলতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঠিকাদার ও পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন একাত্তর টিভির খুলনা ব্যুরো
প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নু। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকের ক্যামেরা
ভাঙচুর করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে।দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর জোড়া গেট এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে সাংবাদিকরা। এ সময় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল আলম সোহাগ জানান, খুলনা ওয়াসার কাজের গাফিলতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঠিকাদার ও পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন একাত্তর টিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নু, এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং এর সত্যতা পাই। সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু বলেন, জোড়াগেট এলাকায় ওয়াসার পাইপ লিকেজ হয়ে পানি বের হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে মোবাইলে ওই চিত্র ধারণ করছিলাম। এ সময় কর্মরত খুলনা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের চায়না
প্রকৌশলী আকস্মিকভাবে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তখন আমি সাংবাদিক বলে তাদের বার বার পরিচয় দিলেও তারা আমার ওপর মারধর বন্ধ করেনি। এক পর্যায়ে আমার সহকর্মী ক্যামেরাম্যান আরিফুর রহমান সোহেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছবি তোলার চেষ্টা করলে তারা ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল বাশার এসে উল্টো হাতকড়া পরিয়ে আমাকেই থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর পেয়ে খুলনার প্রায় সব সাংবাদিকরা জোড়গেট এলাকায় এসে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, সাবেক সভাপতি এসএম হাবিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক
সাইয়েদুজ্জামান সম্রাটসহ আরও অনেকে। পরে খবর পেয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘটনাস্থালে পৌঁছে হামলায় দোষী পুলিশ পরিদর্শক বাশার ও চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা অবরোধ তুলে নেয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রবিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার সোনালী সেন, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কেএমপির পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, ইন্সপেক্টর আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে এ ঘটনায় বিকালের রকিব উদ্দিন পান্নু বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।