themesbaz_sky_19
ঘোষনা :
জাগোদেশ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম , সর্বশেষ সংবাদ জানতে জাগোদেশ২৪ ডটকমের সাথে থাকুন । জাগোদেশ২৪ডটকমের জন্য  সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।  আগ্রহী প্রার্থীগণ জীবন বৃত্তান্ত, পাসপোর্ট সাইজের ১কপি ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ ই-মেইল পাঠাতে পারেন। ই-মেইল:
পুরাতন খবর খুজছেন ?

পুলিশের দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

জাগো দেশ প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও আশ্বাস থাকার পরও গত দুই বছরে পুলিশের সব দাবিই অপূর্ণ রয়ে গেছে। তাই এবারের পুলিশ সপ্তাহেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরাতন সেসব দাবিই নতুন করে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কেন তিনি সম্মতি দেয়ার পরও দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি তা সংশ্লিষ্টদের অতিসত্ত্বর জানাতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে গত দুইটি পুলিশ সপ্তাহেও এসব দাবি উত্থাপন করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। সেগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু তারপরও দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় রোববার পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত পুলিশ কল্যাণ সভায় আবারো সেসব দাবি তুলে ধরা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে নিম্ন-পদস্থ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিভিন্ন ট্রেড যেমন- টেলিফোন,
বিউগল, নার্সিং, ড্রাইভিং, ক্লিনার ইত্যাদি ভাতা যা ট্রেডভেদে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত সেসব ক্ষেত্রে বর্তমান বেতন কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ানোর দাবি ছিল।

প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বর্তমান বেতন কাঠামোর পূর্ববর্তী অর্থাৎ ২০১৫ সালের কাঠামো অনুযায়ী এই ভাতাসমূহ বাড়ানো যেতে পারে যা ট্রেডভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।’ অন্য সব সরকারি বিভাগের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে সকল শ্রেণির কর্মকর্তা কর্মচারীর জন্য ৩০ শতাংশ প্রশিক্ষণ ভাতা চালু রয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের মধ্যে কেবল বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা এবং বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজ, মিরপুরে কর্মরত এএসপি হতে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের জন্য ৩০ শতাংশ ভাতা চালু হয়েছে। অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সাথে তা সমতায়নের দাবি তোলে পুলিশ।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতেও একই সুবিধা প্রদান করা যৌক্তিক। তিনি সদয় সম্মতি প্রদান করেন।

পুলিশসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থা পাচার করা বা চোরাই বা অবৈধ মালামাল উদ্ধার করে থাকে। অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা তাদের উদ্ধার করা মালামালের মূল্যের ওপর একটি প্রণোদনা পেলেও পুলিশ এ ধরনের কোনো সুবিধা পায় না। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় উদ্ধারকৃত মালামালের ন্যুনতম ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা হিসেবে দিতে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো সম্মতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের সরকারি কমকর্তা কর্মচারীরা নানা ধরনের ছুটি মিলিয়ে বছরে প্রায় ১২০ দিন ছুটি ভোগ করে থাকেন। কাজের ধরন ও চাপের কারণে পুলিশ সদস্যরা কখনই এই ছুটি ভোগ করতে পারেন না। তাই এই সময়টি স্পষ্টতই কর্মকাল বিধায় পুলিশ সদস্যদের কমপক্ষে ৬০ দিন বা দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার দাবিও জানান পুলিশ সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সুবিধা দিতে সম্মত হন। পুলিশ সদস্যরা নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় কাজে
লিপ্ত থাকায় চাকরি পরবর্তী সময়ে অন্যরা যখন ভিন্ন কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন, পুলিশ সদস্যরা নানা প্রকার অসুস্থতায় ভোগেন। এ সময় তাদের জীবন ও জীবিকা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।

তাই পুলিশ সদস্যরা দাবি তোলেন, তাদের জন্য দুই সদস্যের আজীবন রেশন সুবিধার। এ দাবিটিকে অত্যন্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তা বাস্তবায়নে সম্মতি দেন। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা
ছুটিতে গিয়ে মারা গেলেও এককালীন আট লাখ টাকা পান। কিন্তু পুলিশের একজন সদস্য জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হলেও পান পাঁচ লাখ টাকা। অন্যান্য সরকারি দপ্তরের একজন সদস্য সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো উপায়ে আহত হলে যেখানে চার লাখ টাকা পান, সেখানে পুলিশের একজন সদস্য সন্ত্রাসীদের
বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে গুরুতর আহত হলেও পান এক লাখ টাকা। এ বিষয়ে সমতায়নের জন্য বিগত কয়েকটি পুলিশ সপ্তাহেই দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সাত কার্য দিবসের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার নির্দেশ দেন তিনি।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পুলিশের আবাসন সমস্যার কথা আঁচ করতে পেরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ঠিক পূর্ব পাশে গণপূর্তের যে আবাসিক দালানগুলো উঠছে সেখানে পুলিশ সদস্যদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবাসন বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কল্যাণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিগত বছরে নানা ক্ষেত্রে পুলিশের সাফল্য তুলে ধরা হয়।’
পাশাপাশি, পেশাগত সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশের জন্য কিছু যৌক্তিক দাবিও তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2020 jagodesh24.com
Design & Developed BY Anamul Rasel