নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঋতু পরিবর্তনের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। এ সমস্ত রোগে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপালের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ডায়রিয়া আক্রান্ত ১২২ ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েক শ রোগী।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দুটি কক্ষ নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ড। দুটি কক্ষই রোগীতে পরিপূর্ণ। রোগীর অতিরিক্ত চাপে কোনো বেড খালি নেই। তাই মেঝেতে রোগীদের থাকতে হচ্ছে। মেঝে ও বারান্দায় চলছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা। সব মিলিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কলেরা স্যালাইনের সংকট দেখা দিলেও বর্তমানে পর্যান্ত পরিমাণ মজুদ আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ও তাঁর স্বজনেরা বলেন, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কোনো জায়গা ফাঁকা নেই। বারান্দায় চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে তাঁদের।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.শামীম কবির বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন, বাসি খাবার খাওয়াসহ নানা কারণে শিশু ও সব বয়সের মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা বেশি ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের কষ্ট করে বারান্দায়, সিড়ি ও বাইরে থাকতে হচ্ছে। সবার উদ্দেশে ডা. শামীম কবির বলেন, মলত্যাগ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুলে ডায়রিয়ার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ হ্রাস করে। তাই বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নখ কেটে সব সময় ছোট রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তারা বাইরে খেলাধুলা করে, ঘরের ছোট ছোট জিনিস হাতে নিয়ে মুখে দেয়। তাই সবসময় তাদের হাত পরিষ্কার রাখা উচিত। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। পরিষ্কার স্থানে খাবার রাখতে হবে। টয়লেট থেকে আসার পর সাবান বা ছাই দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। প্রতিটি বাসাবাড়িতে খাওয়ার স্যালাইন ও জিঙ্ক ট্যাবলেট মজুদ রাখা উচিত বলেও তিনি জানান।