নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গায় ১২০ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্যালো ইঞ্জিনচালিত দুটি আলমসাধু রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকানোর জন্য বেরিকেট দেওয়া
হয়। কিন্তু বেরিকেট ভেঙে অ্যাম্বুলেন্সটি পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বেপরোয়া অ্যাম্বুলেন্সটির পিছন পিছন ধাওয়া করে পিটিআই মোড় থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে ডিবি পুলিশ। এ সময় ওই অ্যাম্বুলেন্স থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেরিকেট দেওয়া আলমসাধুর এক চালক অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে মামলাসহ উদ্ধার হওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশ হেফাজতে রাখে।
জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, একটি অ্যাম্বুলেন্সে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল চুয়াডাঙ্গা হয়ে আলমডাঙ্গার দিকে পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)
রাজীব আলীসহ ফোর্স আদর্শ স্কুলের সামনে ওই অ্যাম্বুলেন্সটির গতি রোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় ঢাকা মেট্রো-ম-৫১-২৫৯৭ নম্বরের অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশের বাধা
ভেঙে একটি আলমসাধুকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিযানকারী পুলিশ সদস্যরাও ওই অ্যাম্বুলেন্সের পিছু ধাওয়া করে আলমডাঙ্গার পাঁচকমলাপুর পিটিআই মোড়ের কাছে পৌঁছালে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সটির সামনের কাচ ভাঙা অবস্থায় সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলেও অ্যাম্বুলেন্স থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে
মামলাসহ অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশ হেফাজতে রাখে।
জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় আহত জাকির সুমিরদিয়া কলোনিপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। গতকাল ভোর সাড়ে চারটার দিকে জাকির ও তাঁর সহকর্মী মনোয়ার সুমিরদিয়া থেকে আলমসাধু ভর্তি টাইলস নিয়ে আলমডাঙ্গার বাড়াদী যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এক ব্যক্তি তাঁদের গতি রোধ করেন এবং নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। এ সময় ওই ব্যক্তি বলেন, সন্দেহমূলকভাবে এ পথ দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স যাবে। ওই
ব্যক্তি তাঁদের আলমসাধু দুইটি মুখোমুখি করে রাস্তার মাঝে দাঁড় করাতে বলেন। তাঁর কথা মতো আলমসাধু দুটি মুখোমুখি করে রাস্তার মাঝে দাঁড় করানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্স আলমসাধু দুটিকে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায়
অ্যাম্বুলেন্সটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে গেলেও অ্যাম্বুলেন্সটি না থামিয়ে চলে যান চালক। এ সময় মনোয়ার গাড়ি থেকে নেমে যেতে পারলেও জাকির হোসেন নামতে না পারাই অ্যাম্বুলেন্সটির ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। মনোয়ার জাকিরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।