শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
দর্শনা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৩ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি), মাদক বিরোধী অভিযানে ছয়শত পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ আটক- ১ মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগের মিলনমেলা-২০২১ এক সময় তারকা সংকট দেখা দিলে এদেশে কাজ করতে এসেছেন মুনমুন সেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তসহ আরও অনেক নায়িকারা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পাখি ভ্যান উল্টে নিহত ১ আহত ২ মণিরামপুর থানা পুলিশের অভিযানে ১২ জন ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি ও ১৫ পিচ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন আটক চলচ্চিত্রশিল্প কোনো সংকটই কাটিয়ে উঠতে পারছে না মোরেলগঞ্জে ঘেরের ভেড়িতে করলা চাষে লাভবান কৃষকের মুখে মিষ্টি হাসি আমি যে তোর — আলমডাঙ্গায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।যে কোন সময়ের চেয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল

পরকীয়ায় স্ত্রী, স্বামী হত্যার রহস্য প্রেমিকের হারানো ফোনে

বিশেষ প্রতিবেদক / ৭৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর ৯ মাস পর জানা গেল স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছিলেন তিনি। একটি হারিয়ে যাওয়া ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে সামনে এসেছে এই হত্যারহস্য।বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গয়েজ উদ্দিনের ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন। তার স্ত্রী মিতুর কাছ থেকে নাসিরের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করেন নাসিরের স্বজনরা।

এ ঘটনার ৯ মাস পর মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজুর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনে নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথোপকথনের রেকর্ডিং পায় নাসিরের স্বজনরা। পরে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) এবং মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার ফাতেমা মিতু বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার মো. মাহতাব হোসেনের মেয়ে এবং রাজু মিয়া ঢলুয়া ইউনিয়নের গুলবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে। আদালতে হাজির করে বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, গত বছর ২৩ মে ঈদুল ফিতরের আগের দিন রাতে নাসিরের মৃত্যুর খবর পান তার স্বজনরা। পরবর্তীতে নাসিরের স্বাভাবিক মৃত্যু জেনে তাকে স্বাভাবিক নিয়মেই দাফন করে স্বজনরা। ঘটনার ৮ মাস ১৯ দিন পর তার স্বজনরা জানতে পারেন নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজু নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কম্বল চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নাসিরের বড় ভাই মো. জলিল হাওলাদার বরগুনা সদর থানায় অভিযোগ করলে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তদন্তকালে ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজুকে গ্রেফতার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফাতেমা মিতুর পরকীয়া প্রেমিক রাজুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বরগুনার একটি দোকানে চার্জ করাতে দেন রাজু। সেখান থেকে তার মোবাইলটি হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া ফোনে নাসিরকে হত্যার পরিকল্পনা এবং পরবর্তী বিষয়ে রাজু ও মিতুর কথোপকথনের রেকর্ড জমা থাকে। পরে হারিয়ে যাওয়া ওই ফোনের কথোপকথন পায় নাসিরের স্বজনরা। এর প্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ করেন নাসিরের বড় ভাই জলিল হাওলাদার। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে রাজু ও মিতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ

নাসিরের বড় ভাই ও মামলার বাদী মো. জলিল হাওলাদার বলেন, মিতুর কাছ থেকে আমার ভাইয়ের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর পাই আমরা। তখন আমাদের কোনো কিছু সন্দেহ হয়নি। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই আমরা নাসিরকে দাফন করি। এ ঘটনার নয় মাসেরও বেশি সময় পর মিতু ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজুর মোবাইল ফোনে কথোপকথনের বেশ কয়েকটি রেকর্ড পাই আমরা। সে রেকর্ডে নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কথোপকথন রয়েছে। তখন আমরা নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হই। এরপর পুলিশে অভিযোগ করি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসির এবং মিতু দম্পতি দুই সন্তানের জনক জননী। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর