ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মাদক মামলায় মাও ছেলের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের দুজনকেই পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের হাকিম সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেন।মামলায় দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দির কালা মিয়ার স্ত্রী ঝরনা বেগম (৫৪) ও তার ছেলে সুমন (২৮)। রায় প্রদান কালে ঝরনা বেগম পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দিতে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ৫০০ পিছ ইয়াবাসহ ঝরনা বেগম ও তার ছেলে সুমনকে আটক করে।পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেক অভিযানে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দুটি স্পিডবোর্ড আটক করা হয়। এসময় পলাতক ফরিদ মিয়া ও সবুজ মিয়া নামের দুজনসহ মা-ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।উক্ত মামলায় সবুজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্টশিট প্রদান করা হয়।এরই মধ্যে ঝরনা বেগম ও তার ছেলে সুমন ছেলে জামিনে বের হয়। বুধবার রায় প্রদানকালে ছেলে সুমন মিয়া উপস্থিত হলেও মা ঝরনা বেগম পলাতক ছিলেন।
আদালত সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে আদেশে মা-ছেলেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।পলাতক ঝরনা বেগম যেদিন গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণ করবেন, সদিন থেকে তার সাজা কার্যকর শুরু হবে। অপর আসামি ফরিদ মিয়াকে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত।এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ হোসেন বলেন, এ মামলার রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজ্ঞবিচারক সঠিক ও যৌক্তিকভাবে এই রায় প্রদান করেছেন