লেখকঃ-“খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানঃ মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতিসত্তার সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়। আর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেশ স্বাধীন না করলে আজ আমরা কোনোভাবেই নিজেদের স্বাধীন জাতি ভাবতে পারতাম না। পরাধীনতার শিকল হয়তো আমাদের আজও তাড়া করে বেড়াত।বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে এনেছিলো। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিলো। মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেননি।মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহঙ্কার। আর তাই আমাদের এই বাংলাদেশে বছরের প্রতিটি দিনই হওয়া উচিত মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করার দিন। পাশাপাশি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এ জন্য অবশ্য প্রয়োজন আমাদের আন্তরিকতা। ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কথায় কথায় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি। কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেকেই হয়তো যুদ্ধদিনের সেই ভয়াবহ দুঃসহ ঘটনা অনুভব করতে পারিনা। ছোট বেলায় দাদীর মুখে শুনেছি সে সময়ের যন্ত্রণাকাতর, নির্দয়, নিষ্ঠুর অনেক ঘটনা! দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান অকুতোভয়ী মুক্তিযোদ্ধারা এখনো মর্মে মর্মে সেই যন্ত্রণাকাতর স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু তাঁদের জন্য আমরা কে কতটুকু দায়িত্ব পালন করি বা করেছি? আমাদের আলমডাঙ্গাবাসীদের সৌভাগ্য যে মেয়র নির্বাচনে আমরা যোগ্য মুক্তিযোদ্ধা মেয়র প্রার্থী পেয়েছি। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শ্রেষ্ঠ পদক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মেয়র প্রার্থী আমাদের জন্য যথেষ্ট গর্বেরও। আগামী নির্বাচন আসতে আসতে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকেই হয়তো আমরা আর পাবো না। আলমডাঙ্গার সকল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে এসে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের একত্র হয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানকে সমুন্নত করতে সুযোগ এসেছে। আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সকল স্বপক্ষ শক্তিকে একত্র করে মেয়র নির্বাচনে একজন বীর যোদ্ধাকে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে আমাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দৃঢ় প্রত্যয়ী হই। আর এর মধ্য দিয়েই সম্মানিত করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে।