মেহেদী হাসান মিলন:চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা ভোক্তা অধিকারের যৌথ অভিযান পারিচালিত হয়।জানা গেছে কার্পাসডাঙ্গা কলোনীপাড়ায় বাক্কার বাড়িতে গোপনে মেয়াদত্তীর্ন গ্লুকোজ নতুন করে প্যাকেট জাত, এবং ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোমবাতি,ভারতীয় লেখার মোড়কে আগরবাতি,বেনামে চলছে গ্লুকোজ ফ্যাক্টরী এমন গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা ভোক্তা অধিকার যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পান।এসময় উক্ত নকল গ্লুকোজ তৈরীর মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনের ৩৭ ধারায় ১১ হাজার টাকা জরিমানা ও উক্ত কারখানার সমস্ত গ্লুকোজ ঘটনাস্হলেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় । জননিরাপত্তার কথা ভেবে আগর বাতি এবং মোমবাতিতে ঐ স্হানে আগুন দেওয়া হয়নি। তাদেরকে এসব দ্রব্য অপসারণের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত ।অভিযানে নেতৃত্ব দেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান,ভোক্তা অধিকারের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আতিকুর রহমান জুয়েল।অপরদিকে জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযানে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মেসার্স হারুন স্টোরে অননুমোদিত, ভেজাল ও মেয়াদ মুল্য বিহীন শিশু খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭,৪১ ধারায় ২০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গার নবনিযুক্ত নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মোঃ মিলন মিয়া। নিরাপত্তায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম। সর্বপরি, সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়,সেই সাথে সকলকে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ সহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকীস্বরূপ এমন কোন কাজ করা যাবে না এবিষয়ে সবাইকে সচেতন করা হয়।নকল গ্লুকোজ ফ্যাক্টরী ও উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় ভ্রাম্যমান আদালতকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।