কমল খোন্দকারঃ
উঁহু! লাইন ভাঙা চলবে না !বিশৃঙ্খলা সহ্য হয় না মোটেও !লাইন ফাইল টানটান ! ডেকে নেবো একে একে সব্বাইকে!
‘কেউ ফেরে না খালি হাতে খাজা বাবার দরবারে ‘–হা হা হা –সাগরের চেয়েও বিশাল আমার খাজাঞ্চিখানা –নিলাম ওয়ালা চার আনা –লে লো বাবু চার আনা -যা নেবে তাই চার আনা –নিলামওয়ালা —হা হা হা —
সাইলেন্ট প্লীজ!কলিং রোল -নাম্বার ওয়ান —
হুম! একটা শরতমোড়া স্বচ্ছজলের শাপলা ঘেরা দীঘি ছিলো তোমার।মূল সমেত ফুলগুলো দুমড়ে মুচড়ে কুটিকুটি ছিন্নভিন্ন- বিলীন করেছি আকাশে! একলা দীঘি একলা কাঁদে–
আহা! বড্ড ক্ষমাহীন পাপ গো! কী নেবে গুনাহ্গার?মাত্র একটা হাত? তাও আবার দক্ষিণ বাহু? অত্তবড় শরৎ দীঘি হননের পাপ কী এক হাতে খন্ডন হয় গো!আহা! বড়ই দয়ালু গো তোমরা!
নিঃসঙ্গ রাতগুলোতে সাদা খাতাটার অনন্ত পাতাটাতে প্রতিরাতেই চলতো শূণ্য আকৃতিতে রূপ দেয়ার অক্ষম চেষ্টা ! অপচেষ্টা -হাহ্!
হাতুড়িটা মজবুত তো?এক ঘায়েই কিন্তু ভাঙতে হবে ওটা! মহানুভবতার লেবাস থেকে বেরিয়ে এসো হে দয়ালু!
আহ্হ্!! খুশি?? হা হা হা –আমিও !
হ্যাঁ তুমি! স্বপ্ন করেছি চুরি? আহ্হাররে! মারাত্মক পাপ! মারাত্মক পাপ!! স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচে?কত ঝলমলে পূর্ণিমা –কত রোদ্র উজল হৈমন্তী ভোর- সকাল-কত তারা ভরা রাত –কত কত সপ্তর্ষী দেখা স্বপ্নমাখা চোখ- আহা! লুটপাট করেছি তোমাদের সব!
কী চাও বলো ? দুটো চোখই? আচ্ছা- কোনদিনই মেলিনি ও দুটো– অতি তুচ্ছ জিনিস চায়লে গো! আহা পাপাকীর্ণ পলাতক চোখ- কী কাজেই বা লাগতো! তুমি নিচ্ছো যখন -আজ থেকে কুল গতি হবে ও দুটোর –‘ আমি কুল হারা কলঙ্কিণী – হু হু –‘
সাঁড়াশিটা পরখ করেছো তো?ফলাটা কিন্তু তীক্ষ্ণ হওয়া চায় -ওহ্! করুণা নয় একদম !
আহ্হ্হ্হ্! ও মাগো!!
তোমার? আদিগন্ত সবুজ এক টুকরো জমিন? ক্লোরোফিলের দূর্ভিক্ষে ভয়ংকর জন্ডিস? ‘ বি ‘ ভাইরাস পজিটিভ? মৃত্যুদন্ডেও রাজী আছি! শুধু মাত্র পা? দুটোই নিতে চাও? অক্কে! দিয়ে দিলাম যাও!
চতুর্ভিত মরুভূমিতে মাঝেমধ্যে ক্রোশ ক্রোশ দূরত্বে ক্লোরোফিলের খোঁজে হাঁটতে হতো -জন্ম পোলিও! হাঁটতে যে কী কষ্ট ! কী কষ্ট!! উদ্ধার করলে গো! সবগুলো হকিস্টিক্স করো একত্রিত -এক বাড়িতে চুরচুর করতে হবে মনে রেখো!
ওহ্হ্হ্হ্হ্!!! বাবাগো!!!
জিভ চায় তোমার?? ওহ্! বড্ড বাঁচা বাঁচালে গো!! অষ্টআশি ফাঁসীতেও দন্ড হতো খুব কমই! কত্ত কত্ত হৃদয় দ্বিখন্ডনের একাগ্র খুনী খুনের দায়ে ফেরারী আসামী, জানো তুমি? ক্ষমাহীন রূঢ় হও! এক হ্যাঁচকাতেই যেন ভবলীলা সাঙ্গ হয় এখনই! অপমৃত্যু চাই -এক্ষুনি!! এক্ষুনি!!
আআআআআআহ্হ্হ্!!!
পরাক্রমতা? বোধিজ্ঞান? দ্যাখো, ধুলায় লুটাচ্ছে লুলা আত্মা! ওটাই চায়? তবে হোক তাই!
আহ্ দয়াময়! দয়া হলো অবশেষে! একজন জানো আসেনি এখনও -অমাবশ্যা! ও এলেই পূর্ণ হতো একশ’! নিরানব্বুয়েই থামতে হলো –
মুক্ত স্বাধীন পরম সত্তা ছেড়ো না আমায় -অমাবশ্যা নয় হন্তাকারী কখনও! আফটার অল জাত ভাই- বলো? খুঁজে নিলাম আজ মুক্তি এখানে আমি আজন্ম সাথী নিকষ ঘন আঁধার পদ চুমি ! তোমাতে পাপীর মুক্ত স্বাধীন ভূমি-
যেথা– ‘বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দ ধারা