নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় গৃহবধূ লিপি আক্তারকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে নিহতের চাচাতো দেবর ও আসামি রাসেল মিয়া। রোববার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। এ সময় ভাবিকে হত্যার পর নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার কথা জানায় রাসেল। পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শনিবার বিকেলে ছাড়পত্র পায় রাসেল। রোববার তাকে নেত্রকোনা আদালতে নেয়া হলে সে ভাবি লিপি আক্তারকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। ৪ অক্টোবর ভোরে পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আজিজুল ইসলামের স্ত্রী লিপি আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে চাচাতো দেবর রাসেল মিয়া। ওই সময় নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজনের তৎপরতায় রাসেল বেঁচে গেলেও মারা যান তার ভাবি লিপি। নিহত লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজিজুল-লিপি দম্পতির ১২ বছরের একটি ছেলে আছে। কর্মসূত্রে স্বামী দূরে থাকায় চাচাতো দেবর রাসেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন লিপি। পরিবার ও স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেলে দূরত্ব সৃষ্টি হয় লিপি-রাসেলের মধ্যে। এরই জেরে ৪ অক্টোবর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় লিপিকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাসেল। ঘটনার রাতে নিহত লিপির ঘর থেকে একটি কাগজ কাটার ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরদিন রাসেল মিয়াসহ ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লিপির বোন ফেরদৌসী বেগম। এরপর রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের হেফাজতেই রাসেল হাসপাতালে চিলেন বলে জানান পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম।