বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে দলটির মনোনয়নবঞ্চিতদের সমর্থকরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা বিএনপি মহাসচিবের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ডিম ছুড়ে মারেন। এতে বাসভবনের দরজা-জানালার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিএনপি মহাসচিবের বাসার সামনে কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাসার ভেতরে অবস্থান করছিলেন। জানা গেছে, ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এ আসনের অপরাপর সাত প্রার্থীর কর্মী- সমর্থকরা বিক্ষোভে অংশ নেন। দুপুরের পর থেকে তারা বিএনপি মহাসচিবের বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবাদের শেষ পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ডিম ছুড়ে মারেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনার পরপরই শনিবার সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসভবনে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত ব্যক্তি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার ক্ষতিসাধন করেছে। এ ঘটনার পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে অভিযোগ করে স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, বর্তমানে সারাদেশে গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন চলছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতেই সরকারের এজেন্টরা এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। গত শুক্রবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই আসনে ৯ প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার দিনে এসএম জাহাঙ্গীর ও অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী এম কফিল উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এস এম জাহাঙ্গীরকে দায়ী করে অপরাপর সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী লিখিতভাবে বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি জানি না কারা সেখানে বিক্ষোভ করেছেন, কারা ডিম-পাথর ছুড়েছেন। আমি আমার ফ্যাক্টরিতে গিয়েছিলাম। তখন মহাসচিব আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি বলেছি, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’