নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গার একটি খামারে ভুল চিকিৎসার কারণে গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে খামার মালিকের প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এমন অভিযোগ করে আজ মঙ্গবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের এম আর ডেইলি ফার্মের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মালা খাতুন বলেন, আমাদের মোটাতাজা করণের একটি খামার আছে। যেখানে শতাধিক গরু, দুই শতাধিক ছাগলসহ হাঁস পালন করা হয়। খামারে কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ উপ-সহকারী কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে মাসুদ রানা উপস্থিত হয়ে আমাদেরকে জানান, গরুর ক্ষুরা রোগ হয়েছে । সেই মোতাবেক পর্যায়ক্রমে ৮৯ টি ভ্যকসিন প্রদান করতে হবে। আমরা রাজি না থাকলেও ফার্মের পুরাতন ডাক্তার হিসেবে সরকারি ওষুধ ব্যবহার না করে ভারতীয় ওষুধ প্রদান করেন। ওই ভ্যাকসিনের কারণে আমাদের খামারে ৫-৬টি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি একটি গরু মারা যায়। এতে আমরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই । এদিকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই ফার্মে ১০-১২ বছর সেবা দিয়ে আসছি। ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন আমি নিজের ইচ্ছায় দেয়নি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিত ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন দিয়েছি ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আহম্মেদ শামিমুজ্জামান বলেন, অন্যায়ভাবে আমার অফিস স্টাফকে নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ যেয়ে তাকে উদ্ধার করে। ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা দিলে ক্ষত স্থান একটু ফোলে। দু চার দিন সেখানে ছ্যাক দিলে ঠিক হয়ে যায় ।