লালমনিরহাট প্রতিবেদকঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও হোটেল মালিক আক্তার খন্দকার আপন ভাগনের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ভাগনে আতিয়ার রহমানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আক্তার খন্দকার ওই উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী (মিলনবাজার) এলাকার নেহার উদ্দিনের ছেলে। আতিয়ার রহমান একই এলাকার নূর হোসেন ওরফে দুলাল মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত ডেইলি বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন খন্দকার হোটেলের মালিক আক্তার খন্দকার ও ম্যানেজার আতিয়ার রহমান। সম্পর্কে মামা-ভাগনে হওয়ায় তারা একসঙ্গেই থাকতেন। আক্তার খন্দকার প্রায়ই ভাগনের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু আর্জিনা প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আক্তার খন্দকার তাকে ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। ওসি আরো জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামী আতিয়ারকে জানালে তিনি স্ত্রীর কথা বিশ্বাস না করে উল্টো তাকেই সাবধান করে দেন এবং ভবিষ্যতে পরিবারের কারো সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা না করার হুঁশিয়ারি দেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ সোমবার বিকেলে হোটেলের সামনে গিয়ে আক্তার খন্দকারকে বিয়ে করার জন্য বলেন। কিন্তু আক্তার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। ওই সময় মামা আক্তার খন্দকারের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন ভুক্তভোগীর স্বামী আতিয়ার রহমান। এতে ঝামেলা আরো বাড়লে এক পর্যায়ে স্থানীয়রা আক্তার খন্দকার ও আতিয়ার রহমানকে আটক করে বুড়িমারী ইউপি কার্যালয়ে হস্তান্তর করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে আক্তার খন্দকার ও আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে। আক্তার খন্দকার গড্ডিমারী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, ওইদিন রাতেই মামা শ্বশুর আক্তার খন্দকার ও স্বামী আতিয়ার রহমানকে আসামি করে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।