মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রীর পিএস পদে নিয়োগ পেলেন দুজন ভালোবেসে বিয়ে করে বিপাকে নবদম্পতি খুলনার স্কুলের গ্রিল কেটে চুরি হওয়া ২১টি ল্যাপটপ উদ্ধার, গ্রেফতার ৫ স্ত্রীর অধিকার পেতে প্রেমিকের বাড়িতে শিক্ষিকার অনশন সালাম না দিলেই মারধর, ছাত্রীদের ওড়না ধরে টান দিতো রবিউল অনলাইনে ভুয়া পণ্য বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার দুই প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ‘ম্যুরাল’ উদ্বোধন পাইকগাছায় শেখ হাসিনার ৭৪ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি আলমডাঙ্গার শিক্ষক জামিরুল ইসলাম খান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তালবীজ রোপন করেছেন  চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক

‘বার্সেলোনাই আমার জীবন’

Reporter Name / ৭৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

স্পোর্টস ডেস্কঃ২০ বছরের সম্পর্ক ঠুনকো হয়ে যাবে অভিমান, ক্ষোভ, রাগের কশাঘাতে, তা হয় নাকি। রাগের মাথায় মেসি হঠাৎ বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে যেন নিজের সঙ্গেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন। যুদ্ধ শেষ হল শুক্রবার রাতে তার পিছু হটার মধ্য দিয়ে। না, মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে এখনই বার্সা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না তিনি। চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বার্সায়ই থাকছেন তিনি। সেটা ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে মুক্ত হবেন মেসি। তখন কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়াই জার্সি বদল করতে পারবেন তিনি। কাতালান ক্লাব এটাই চেয়েছিল। জয় হল তাদেরই। হেরে গেলেন মেসি। হেরেও খুশি আর্জেন্টাইন নক্ষত্র। শুক্রবার গোল ডটকমকে জানিয়েছেন, প্রিয় ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তার। এই ক’টা দিন কেটেছে নিদারুণ দুঃখে, বিষন্নতায়। ‘আমি যখন আমার স্ত্রী ও সন্তানদের সিদ্ধান্তটা জানাই, ওরা স্থির থাকতে পারেনি। সেটি ছিল একটি নিষ্ঠুর নাটক’, একনাগাড়ে বলে গেলেন মেসি। তিনি যোগ করেন, ‘বাড়ির সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। আমার সন্তানেরা বার্সেলোনা ছাড়তে চায় না। স্কুলও পাল্টাতে চায় না ওরা। কিন্তু আমার দৃষ্টি ছিল অনেক দূরে। আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে চাই। আপনি জিতবেন, হারবেন এটাই ফুটবল। আপনাকে খেলে যেতে হবে। অন্তত সাফল্যের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। ভেঙে পড়লে চলবে না। একথা চিন্তা করেই আমি বার্সা ছাড়তে চেয়েছিলাম।’

তাতে বাদ সাধেন বার্সার প্রেসিডেন্ট হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। তার একটাই কথা, চুক্তির শেষদিন পর্যন্ত মেসিকে ন্যুক্যাম্পে থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। ‘ক্লাব বলছে, ১০ জুনের আগে আমি কেন তাদের জানাইনি যে, ক্লাব ছাড়তে চাই। ভেবেছিলাম আমি অন্য ক্লাবে যেতে পারব। এর মাঝে চলে এলো করোনাভাইরাস। এজন্যই আমি ন্যুক্যাম্পে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বার্সার জার্সি গায়ে এই মৌসুমেও মাঠে নামব। কারণ, ক্লাব প্রেসিডেন্ট আমাকে বলেছেন, চলে যেতে চাইলে আমাকে ৭০ কোটি ইউরো দিয়ে যেতে হবে। চুক্তির রিলিজ ক্লজে এই শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। ৭০ কোটি ইউরো দেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।’ আরেকটা পথ খোলা ছিল মেসির সামনে। সেটি হল বার্সেলোনাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া। মেসি সেই পথে যেতে নারাজ। তাই আরও ১০ মাস তাকে থাকতেই হচ্ছে ন্যুক্যাম্পে। ‘বার্সেলোনা আমার জীবন। এখানেই নিজের জীবন সাজিয়েছি আমি। বার্সা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমিও বার্সাকে সব দিয়েছি। তাই বার্সাকে আদালতে টেনে নিয়ে যাব, এমন চিন্তা করিনি কখনও। যে ক্লাবটিকে আমি ভালোবাসি, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কথা ভাবতেও পারি না’, একটানা বলে যান ছয়বারের ব্যালন ডি অরজয়ী মেসি। তার ছেলে থিয়াগো বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে নারাজ। ছোট ছেলে মাতেও’র এখন বুঝে ওঠার বয়স হয়নি যে, অন্য কোথাও গিয়ে নতুন জীবন শুরু করা কাকে বলে। ‘থিয়াগো বড়। টিভিতে সে খবরে দেখেছে। সে আমার কাছে পুরো ঘটনা জানতে চায়। আমি ওকে বলতে চাইনি। সে তখন কেঁদে বলে, যেও না বাবা। আমি বুঝতে পারি ওর কষ্ট। এমন সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। এই জায়গা ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে আমার ভালো লাগবে না। এখন আমি নতুন লক্ষ্য স্থির করব। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব। কালই (আজ) হয়তো যোগ দিতে পারি অনুশীলনে। এখানেই আমার সব। এই বার্সেলোনায়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর