নিজস্ব প্রতিবেদকঃযশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি থেকে হাসানুজ্জামান নামে এক ড্রাইভারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোর ৬ টার দিকে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ ওই ব্যক্তির পকেট থেকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ওই যুবকের নাম হাসানুজ্জামান, বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার যোগিয়া গ্রাম লেখা রয়েছে।তার ডাক নাম জগলু। যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, ধারনা করা হচ্ছে ওই গাড়িচালককে অন্য কোন স্থানে গলা কেটে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা লাশটি চুড়ামনকাটি উত্তরপাড়ায় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে। এ কারণে সেখানে রক্তের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।এলজিইডি যশোরের কয়েকজন কর্মচারী জানান, জগলু ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িচালক ছিলেন তার বাড়ি কুষ্টিয়া হলেও তিনি ঝিনাইদহ ডাকবাংলায় একাকী বসবাস করতেন। তার একমাত্র ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করেন এবং তার স্ত্রী ওই ছেলের সাথে থাকেন। তার স্ত্রী হালিমা বেগম জগলুকে তালাক দিয়েছেন। এরপর অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে সংসার করার একপর্যায়ে তাকে তালাক দিয়ে ফের জগলুকে বিয়ে করেন। এ সময় জগলু তার সব সম্পত্তি স্ত্রী হালিমা বেগমের নামে লিখে দেন পারিবারিক কারণে জগলু খুন হতে পারেন বলে ঝিনাইদহের সহকর্মীরা দাবি করেন। সহকর্মীরা জানান,মঙ্গলবার এশার নামাজ পড়ার জন্য তিনি ডাকবাংলো হতে বের হয়ে আসেন। এরপর আর ওই বাংলাতে ফিরে যাননি। রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাকে না পাওয়ায় ঝিনাইদহ পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুজ্জামান জানান,পারিবারিক কারণে তিনি অশান্তিতে ছিলেন এটা সঠিক তবে কী কারণে এবং কারা এ খুন করেছে তা তিনি জানেন না। জগলু মঙ্গলবার অফিসের দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী এবং যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন) শেখ তাসনিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।