জাগো দেশ ডেস্কঃ করোনা পরীক্ষা না করে সনদ দেওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের নামে অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম মামলা আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের পেশকার শুভ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। মামলার বাদীর আইনজীবী মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। মামলার আসামি সাহেদ বাদীর দোকান থেকে বিভিন্ন সময় রড ও সিমেন্টসহ বিভিন্ন মালামাল নিতেন। মালামালের টাকা একসময় দাঁড়ায় তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মালামাল নিয়ে টাকা না দেয়ায় পৃথক দুটি মামলা করি তার নামে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে হাসপাতালটির প্রধান কার্যালয়, উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়। সাহেদসহ নয়জন পলাতক রয়েছেন। এদিকে র্যাব জানিয়েছে পলাতক সাহেদকে ধরতে এরই মধ্যে র্যাবের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে। এরই মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।