ষ্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের নতুনপাড়ার আব্দারের ছেলে ব্রাকের কর্মী সাইফুল হত্যার সন্দেহভাজন পলাতক আসামী খোদাবক্সের ছেলে রতন ও আলী মোল্লার ছেলে আ:হাই এর অপরাধ জগতের উত্তান কাহিনি অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে নানান রকমের চাঞ্চল্যকর তথ্য।অনুসন্ধানে জানা গেছে রতন ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর্যন্ত রতন ছিল বিএনপির একনিষ্ঠ একজন কর্মী।তার পরিবারের অনেক লোকজন ও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।২০০৮ সালের নির্বাচনের পর রতনের এক নিকটত্মীয় আ:লীগের রাজনীতিতে নিজেকে অধিষ্ঠিত করলে রতনের ভাগ্য ফিরে যায়।রতন কুড়ুলগাছি ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশু পাচার(ধুর) ভারতে আত্মীয় আছে বাংলাদেশে বসবাস করে বিনা পার্সপোর্টে গোপনে বর্ডার পার হয়ে ভারতে যায় এদের ধুর বলে।এ ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ে রতন ও আ:হাই। জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের ভারতে পৌঁছে দিতো এ দুজন।পরবর্তীতে ঠাকুরপুর সীমান্তদিয়ে ভারতীয় গরু, মোটরসাইকেল,সাইকেলের চোরাকারবারী শুরু হলে রতন ও আ:হাই জড়িয়ে পড়ে এ চোরাচালানানিতে।এক পর্যায়ে রতন ও আ:হাই নিজেদের প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাকারবারীদের কাছে তুলতে থাকে অবৈধ পয়সা।রাতারাতি লাখপতি বনে যায় দুজনে। আ:হাই ও রতন মিলে শুরু করে ভারতীয় পেঁয়াজ সহ নানান ধরনের অবৈধ ব্যাবসা।পীরপুরকুল্লা গ্রামে হয়ে উঠে অপ্রতিরোধ্য।যে আ:হাই এর কয়েক বছর পূর্বেও ঝাঁপের বেড়ার ঘর ছিলো সে অবৈধ টাকা পেয়ে তার ছেলেকে সিঙ্গাপুর পাঠায়।সেখানে সে কিছুদিন থেকে চলে আসে বাড়িতে। আ:হাই রাতারাতি অবৈধ টাকা আয় করে কয়েকবছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করে তৈরী করে আলিশান বাড়ি,টয়লেট ও বাথরুম।রাতারাতি চেহারা ফিরে যায় আ:হাই ও রতনের। আর এতে সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করে রতনের ভাই কথিত বিএনপির ছাত্রফেডারেশনের জেলা সাধারন সম্পাদক স্বপন ও তার আরেক চাচাতো ভাই।রতন ও আ:হাই ধরাকে সড়াজ্ঞ্যান মনে করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করে।শেষমেষ পীরপুরকুল্লায় একটি ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষকদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে দুজন। সবশেষ ব্রাকের কর্মী সাইফুল হত্যা মামলায় আসামী হয় রতন,আ:হাই,স্বপন সহ কয়েকজন।নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে বলেন রতন ও আ:হাই এর হাত অনেক লম্বা।তারা কি ক্ষমতা ও টাকার প্রভাবে শেষমেষ পার পাবে। না সাইফুল হত্যা মামলায় তাদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।যাতে করে সাইফুল হত্যা মামলার এসব আসামীরা কোন ভাবেই ছাড় না পাই ও সাইফুলের পরিবার যেন ন্যায় বিচার পাই সেজন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।আগামী পর্বে রতন ও আ:হাই এর চোরাকারবারী জগতের সহযোগীদের নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা হবে