শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:করোনা ভাইরাসের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ প্রভাবে সুন্দরবনের উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট উপকূল জুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু বৃষ্টি নয় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। মোংলা,ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় মাইকিং ছাড়াও সিপিপি মোংলায় বিভিন্ন পয়েন্টে ১৩২টি সিগনাল পতাকা উত্তোলন করেছে। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। বাগেরহাটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। সকাল থেকে রোদ থাকলেও হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মানুষ দিকবিদিক ছোঠাছুটি করছে। মাঠের পাকা ধান ও বাড়ির ওঠোনে শুকানোর জন্য রাখা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক পরিবারগুলো। শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ঘূর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক সংকেতে ভয়াবহ বার্তা পরিবেশন করায় উপকূলবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। মাটি, ছন ও টিনের ঘরের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা সব থেকে বেশি।
কোষ্টগার্ড মোরেলগঞ্জ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ৭নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পরেই পানগুছি নদীতে সার্বক্ষনিক চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। কয়েকটি সমুদ্রগামী ট্রলার ফেরত পাঠানো হয়েছে। মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এইচএম মাহমুদ আলী জানান, সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার জন্য মাইকিং করছি। মেম্বর, চৌকিদারদের মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে বলা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, উপজেলার ১৩৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয় ক্ষতি কমাতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১০০ মন মুড়ি, ২৭ মন চিড়া, ৬০ মন চিনি মজুদ করা হয়েছে। সকল আশ্রয় কেন্দ্রে করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জামও মজুদ করা হয়েছে।